শিরোনাম
সৌভাগ্যের শিলা জন্ম দেয় যে পাহাড়!
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২২:৪৯
সৌভাগ্যের শিলা জন্ম দেয় যে পাহাড়!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

পর্তুগালের উত্তর অংশে আছে কাস্তানহেইরা নামের এক গ্রাম। আর এই গ্রামে যে পাহাড় রয়েছে, তাকে ঘিরে আছে আজব এক রহস্য। স্থানীয় লোকেরা এই পাহাড়ের নাম দিয়েছে পেদ্রাস পারিদেইরাস। ইংরেজিতে যা অনুবাদ করলে দাড়ায় 'শিলা জন্ম দেয়া পাহাড়'। ৬০ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এই পাহাড়। পাহাড়ের পুরোটাতে রয়েছে গ্রানাইট। এই পাহাড়ে চাকতির মতো ও এবড়ো থেবড়ো আকারের ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়। তাতে জমা হতে থাকে কঠিন শিলার মত বস্তুকণা। যেগুলোর আকার ২.১২ সেমি।


তখন এই শিলাখন্ডকে বলে নডুলাস। অত্যধিক তাপে পাহাড়ের মধ্যে থেকে এই নড়ুলাস বের হয়ে আসে। একসময় এগুলো মূল পাহাড় থেকে আলাদা হয়ে যায়। পাথরগুলো যখন আলাদা হয়ে পাহাড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয় তখন এসব পাথরের মূল পাহারের উপাদানগুলো থেকে যায়,যেমন মিনারেল। তবে এই প্রক্রিয়াটা এত সহজে কিংবা অল্প সময়তে হয় না। নডুলাস পর্যায়ে শিলাখন্ডের ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি ও হিম জমতে থাকে। শীতকালে এসব চাকতি হিমসহ জমাট বদ্ধ হয়ে পাহাড়ে আঁকড়ে থাকে। এরকম একশত শীত পার হওয়ার পর পাহাড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয় ছোট শিলাখন্ড।



এ তো গেল এই পাহাড় নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের ব্যাখ্যা। তবে স্থানীয়রা এই পাহাড় থেকে জন্ম নেয়া শিলাখন্ডকে দেখেন সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে। কারো কাছে সন্তান জন্মদানের প্রতীক এই পাহাড়। তাদের মতে এই পাহাড় থেকে জন্ম নেয়া শিলাখন্ড যদি নারীরা ঘুমানোর সময় বালিশের নিচে রেখে দেয়, তবে নারীদের গর্ভবতী হওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়। এ বিশ্বাসের কারণে পাহাড় থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে শিলাখন্ড।


এ কারণে ইউনেস্কো এই পাহাড় থেকে শিলাখন্ড নিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই পাহাড়কে অরুকা জিওপার্ক হিসেবে নাম দিয়ে একে সংরক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু পর্যটকরা লুকিয়ে এই পাহাড় থেকে শিলাখন্ড নিয়ে যায়।


একই কাহিনি শোনা যায় রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গেরএক পাহাড় নিয়ে। তবে সেটা কোথায় আছে জানা যায়নি। চীনের একটি পাহাড় আছে যেটি ডিম পাড়ে। সেখানেও নাকি পেদ্রাস পারিদেইরাস মতো পাহাড় রয়েছে। তবে চীনের পাহাড় যে ধরনের ডিম দেয় তারা আকার পর্তুগালের পাহাড়ের চাকতির চাইতে অনেক বড় ও ভারী। চীনের পাহাড় থেকে জন্ম নেয়া ডিম ৩০ থেকে ৬০ সেমি। আর ওজন ৩০০ কেজি। বিজ্ঞানীর এই পাহাড়ে ডিম সম্পর্কে নানা তথ্য দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সঠিক তথ্য জানাতে পারেনি বিজ্ঞানীরা।



তবে পর্তুগালের স্থানীয়রা মনে করেন তাদের পাহাড়ের অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে। নারীদের ছেলে সন্তান জন্মদানে সহায়তা করে এই পাহাড়ের ডিম। তাদের পাহাড়ে এই মুহূর্তে ৭০টির মত ডিম আছে। যেগুলো আগামী কয়েক দশকের মধ্যে পাহাড় থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। সূত্র : ইন্টারনেট


বিবার্তা/সুমন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com