শিরোনাম
ফের ‘দোকালাম’ উত্তেজনায় চীন-ভারত
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১১:৪৭
ফের ‘দোকালাম’ উত্তেজনায় চীন-ভারত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারত ও চীনের বিরোধপূর্ণ সীমান্তে ফের সেনা মোতায়েন করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে পরাশক্তি চীন। চীন ও ভারতের মধ্যে এই সীমান্ত এলাকা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর আগে ৭৩ দিন ধরে সীমান্তে দুই দেশের সেনা মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনা চলছিল।


পরে কূটনৈতিক সমঝোতায় সমাধান হয়। চীনের প্রতিরা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল উ কিয়ান বলেন, ডোকলাম চীনের এলাকা। সেই অনুযায়ী আমরাই সিদ্ধান্ত নেব সেখানে সেনা মোতায়েন করা হবে কি না। এর বেশি কিছু বলেননি তিনি। উল্লেখ্য, ভুটান ডোকলামকে নিজেদের দাবি করে। ভারতও তাদের দাবিকেই সমর্থন দেয়।


উভয় দেশের মাঝে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত বিরোধী নিয়ে ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধও হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন জায়গায় বিরোধ এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে এবং মাঝে-মধ্যেই সেটি মাথা চাড়া দেয়।


চীন, ভুটান আর ভারতের সিকিম প্রদেশের সংযোগস্থলে একটি উপত্যকার ভেতর দিয়ে রাস্তা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে নতুন বিরোধের সূচনা।
চীন চায় সেখানে একটি রাস্তা তৈরি করতে। কিন্তু যে জায়গাটিতে চীন রাস্তা তৈরি করতে চাইছে সেটি ভুটান ও চীনের মধ্যকার একটি বিরোধপূর্ণ এলাকা।


সে উপত্যকাকে চীন এবং ভুটান-উভয় দেশই দাবী করে। এক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান ভুটানের পক্ষে। ভারত মনে করে, চীন যদি এ রাস্তাটি তৈরি করে তাহলে কৌশলগতভাবে ভারত পিছিয়ে পড়বে।


এ রাস্তাটির মাধ্যমে চীন এমন একটি জায়গায় পৌঁছে যাবে যেটি ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। চীন এমন জায়গায় সড়ক নির্মাণ করতে চাইছে যার পাশেই ভারতের ২০ কিলোমিটার চওড়া একটি করিডোর আছে।


এ করিডোরের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো মূল ভারতের সাথে সংযোগ রক্ষা করে। উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে উভয় দেশ সীমান্তে তাদের সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে এবং একটি মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়েছে।


অন্যদিকে সড়ক নির্মাণ না করার জন্য ভুটানের তরফ থেকে চীনকে আহবান জানানো হয়েছে। ভুটান বলছে, এ ধরনের সড়ক নির্মাণের মধ্য দিয়ে চীন আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন করছে।


ভারত মনে করে সিকিম রাজ্যটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সিকিম অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ভারত চীনের যে কোন আগ্রাসনের জবাব দিতে পারে।
চীন এ বিষয়টি অনুধাবন করতে পারে বলেই সেখানে তাদের কৌশলগত অবস্থান জোরদারের চেষ্টা চালাচ্ছে।


১৯৬২ সালের যুদ্ধে চীনের কাছে ভারত পরাজিত হয়েছিল। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি সম্প্রতি বলেছেন, ১৯৬২ সালের ভারত এবং ২০১৭ সালের ভারত এক নয়। বিবিসি, রয়টার্স।


বিবার্তা/ইমদাদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com