শিরোনাম
রোহিঙ্গা নির্যাতন
নিজেদের নির্দোষ দাবি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০১৭, ১০:৫১
নিজেদের নির্দোষ দাবি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে অভ্যন্তরীণ তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।


তদন্ত প্রতিবেদনে তারা কোনো রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা, তাদের গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া, নারী ও মেয়েদের ধর্ষণ এবং সম্পত্তি চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


রোহিঙ্গা সংকটকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নির্মূল অভিযানের নিখুঁত’ ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছে।


আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তদন্ত প্রতিবেদনটি হোয়াইটওয়াশ’এর একটি প্রচেষ্টা ছিল। সংস্থাটি জাতিসংঘ পর্যবেক্ষকদের ওই অঞ্চলে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।


ওই অঞ্চলে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে খুবই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত এক সফরে বিবিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংবাদদাতা জনাথন হেড দেখেছেন যে, সশস্ত্র পুলিশ সদস্যদের সামনেই এক রোহিঙ্গা গ্রামে অগুন দিচ্ছে বৌদ্ধরা।


পুলিশ বাহিনীর এক পোস্টে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হামলা ও কয়েকজন নিরাপত্তা সদস্য নিহত হওয়ার পর ২৫ আগস্ট থেকে সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোতে অভিযান চালিয়ে হত্যা, ধর্ষণ ও জ্বালাও-পোড়াও চালায়।


এর ফলে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের পাঁচ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয় এবং বৌদ্ধ নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার থেকে ছয় লাখের বেশি লোক বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।


তবে ফেসবুকে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, তাদেরকে নির্দোষ প্রমাণে তারা কয়েক হাজার গ্রামবাসীর সাক্ষাতকার নিয়েছে। এতে বলা হয়, গ্রামবাসী বলেছে যে, সেনাবাহিনী


-কোনো নিরাপরাধ গ্রামবাসীকে গুলি করেনি,
-নারীদের ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতায় জড়িত নয়,
-গ্রামবাসীদের গ্রেফতার, মারধোর ও হত্যা করেনি,
-গ্রামবাসীদের কাছ থেকে রৌপ্য, স্বর্ণ, যানবাহন বা পশুপাখি চুরি করেনি,
- মসজিদগুলোতে আগুন লাগায়নি
-গ্রামবাসীদের হুমকি দেয়নি, অত্যাচার করেনি এবং বেরও করে দেয়নি
-তারা বাড়িঘরে আগুনও লাগায়নি।


বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের (মিয়ানমার তাদেরকে বাঙালী বলে) কিছু সন্ত্রাসী বাড়িঘরে আগুন দেয়ার জন্য দায়ী। যাতে করে লাখ লাখ লোক পালিয়ে যায়। কারণ তাদের এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের ভয়ভীতিও দেখানো হয়েছে।


অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এটা স্পষ্ট করেছে যে, তাদের জবাবদিহিতা করার কোনো ইচ্ছাই নেই।


তিনি বলেন, এখন তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই ধৃষ্টতাপূর্ণ নির্যাতনের ঘটনাগুলো শাস্তির বাইরে না থেকে যায় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।


এদিকে রাখাইন রাজ্যে অভিযানের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল মাউং সোয়েকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।


ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোয়ে তিন্ত নাইংকে তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। তবে কি কারণে ওয়েস্টার্ন কমান্ড ইন রাখাইন এর প্রধানকে বদলী করা হলো তা জানানো হয়নি। সূত্র: বিবিসি


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com