রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে এখনো অগ্নিসংযোগ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। রাখাইন রাজ্যের ভেতর থেকে সম্প্রতি ধারণ করা নতুন তিনটি ভিডিও ও স্যাটেলাইট ছবির ভিত্তিতে শুক্রবার এমনটিই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
অ্যামনেস্টি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, রাখাইনে এখনো ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া হচ্ছে, তার অন্তত তিনটি ভিডিও পেয়েছেন তারা। শুক্রবারও রোহিঙ্গাদের গ্রামের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। উড়তে দেখা গেছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। রোহিঙ্গারা ফিরলে যে থাকবে, সেই উপায়ও রাখছে না মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্রাইসিস রেসপন্স বিভাগের (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা) পরিচালক তিরানা হাসান আরো বলেন, মিয়ানমারে সেনা অভিযান শুরুর প্রায় তিন সপ্তাহ পরও আমরা দেখছি, রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ও গ্রাম পোড়ানো হচ্ছে। ভয়ে রোহিঙ্গারা এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে। অভিযানে রোহিঙ্গাদের শুধু গ্রাম থেকে তাড়ানোই হচ্ছে না, তারা যাতে আর ফিরতে না পারে, সে জন্য ঘরবাড়ি পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হচ্ছে।
অবশ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি তার ভাষণে বলেছিলেন, ৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে রাখাইনে কোনো অভিযান চালানো হয়নি।
সেই প্রসঙ্গ টেনে তিরানা হাসান বলেন, সু চির দাবিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে এসব তথ্যপ্রমাণ। মিয়ানমারের জাতিগত নির্মূলের নিয়ে আর সন্দেহের অবকাশ নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের স্থানীয় সূত্রগুলোও বলছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় উগ্রবাদী জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে আগুন দিচ্ছে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ চলছে বলে উল্লেখ করে অ্যামনেস্টি জানায়, ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।
বিবার্তা/নিশি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]