রোহিঙ্গা ইস্যুতে কঠোর অবস্থানই বজায় রাখলো ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের নিরাপত্তার কারণেই রোহিঙ্গাদের ভারতের বসবাসের অনুমতি দেয়া যাবে না বলে দেশটির সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
সরকারের যুক্তি- রোহিঙ্গা মুসলিমরা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় হুমকি। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজুজ জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা অবৈধভাবে বসবাস করছে। রোহিঙ্গারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। তাই ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমদের চিহ্নিত করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
সরকারের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে দুই রোহিঙ্গা মুসলিম। মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া দুই রোহিঙ্গা মুসলিম মহম্মদ সালিমুল্লাহ এবং মহম্মদ সাকির আদালতে আর্জি জানান, তাদের যেন ফেরত পাঠানো না হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলে। এরপরই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় কেন্দ্র।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সচিবালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বসে। ওই দফতরের সচিব নিপ্রেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ওই বৈঠকে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, আইবি, ‘র’ সহ অন্য নিরাপত্তা এজেন্সিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের যোগ নিয়ে আলোচনা হয়। গোয়েন্দারা বলছেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে লস্কর-ই-তৈয়েবার প্রভাব বাড়ছে। তাদের ব্যবহার করে ভারতকে টার্গেট করা হতে পারে।
এরপর এদিন শীর্ষ আদালতেও সরকারের তরফে সেই আশঙ্কার কথা জানিয়ে দেয়া হয়। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ওই মামলার শুনানি হবে।
বিবার্তা/ডিডি/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]