শিরোনাম
হোয়াইট হাউজ থেকে ব্যাননের বিতাড়ন কিসের ইঙ্গিত?
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৪৮
হোয়াইট হাউজ থেকে ব্যাননের বিতাড়ন কিসের ইঙ্গিত?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ট্রাম্প প্রশাসনের একের পর এক ''উইকেট পতনের'' মধ্যে এবার বরখাস্ত হলেন হোয়াইট হাউজের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যানন। হোয়াইট হাউজে শুক্রবারই যে তাঁর শেষ দিন ছিল, তা নিশ্চিত করেছেন সেখানকার মুখপাত্র সারা হাক্যাবি স্যান্ডার্স।


বরখাস্ত হওয়ার পর ফের কট্টর ডানপন্থি সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্টের শীর্ষ পদে ফিরেছেন স্টিভেন ব্যানন। সংবাদমাধ্যমটির নির্বাহী চেয়ারম্যন পদে যোগ দিচ্ছেন ব্যানন। নতুন করে ব্রেইটবার্টে ফিরে ব্যানন হোয়াইট হাউজের ভেতরে যাঁরা তাঁর পরামর্শমতো তীব্র জাতীয়তাবাদী নীতি বাস্তবায়নে বাধা দিয়েছিল তাঁদের বিরুদ্ধে সরব হতে পারেন বলেও ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এ তালিকায় অনেক রিপাবলিকান, এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও থাকতে পারেন।


শুক্রবার ব্যাননকে হোয়াইট হাউজের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট পদ থেকে সরিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ব্যানন শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন বলে অভিযোগ ছিল সমালোচকদের।


''বিরোধীদের শায়েস্তা করবো''
বরখাস্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্যানন ব্লুমবার্গ নিউজকে জানান, ট্রাম্পের বিরোধীদের সঙ্গে লড়তে গিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, ব্যানন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে যে লড়াই চালিয়েছিলাম আমরা, সেটা শেষ হয়েছে। আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে, তবে ট্রাম্পের সাথে কাজ করার ব্যাপারটা চুকে গেছে।'' তবে তিনি এটাও বলেন যে, বিরোধীদের শায়েস্তা করবেন তিনি।


জন কেলির আগমনই বি ব্যাননের বরখাস্তের কারণ?
জুলাইতে হোয়াইট হাউজে সাবেক মার্কিন মেরিন জেনারেল জন কেলি চিফ অফ স্টাফ হিসেবে যোগদানের পরই ঘটল এই উইকেট পতন। কেননা কেলি তাঁর কৌশল খাটিয়ে হোয়াইট হাউজের কর্মীদের আরও দক্ষভাবে কাজ করানোর চেষ্টা করছিলেন। আগস্টের প্রথম দিকে কেলি ট্রাম্পের নিউজার্সির গল্ফ ক্লাবে এক সপ্তাহ কাটান। সেসময় প্রেসিডেন্টের মেয়ের জামাই জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন বলে গণমাধ্যমে জানা গেছে। ওই সময় ব্যানন কিন্তু ওয়াশিংটনেই ছিলেন।


ট্রাম্পের সঙ্গে দূরত্ব
ট্রাম্পকে নির্বাচনে জেতানোর পেছনে তাঁর কৃতিত্ব রয়েছে এটা জানান দিয়ে জনগণের মনোযোগ কাড়তে চেয়েছিলেন ব্যানন - এমনটাই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি হোয়াইট হাউজের অনেক কর্মকর্তার গোপন তথ্য গণমাধ্যমে ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। ট্রাম্পের ট্রাভেল ব্যান বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার পেছনে ব্যানন সবচেয়ে বেশি প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলে জানা যায়।


হোয়াইট হাউজে অন্য উপদেষ্টা এবং কংগ্রেসের শীর্ষ রিপাবলিকান নেতাদের সঙ্গে লড়াইয়ের পুরো সময়েও ব্রেইটবার্ট ব্যাননকে সাহচর্য দিয়ে গেছে। ট্রাম্পের কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাধা দেয়ার অভিযোগে সংবাদমাধ্যমটি ধারাবাহিকভাবে সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা মিচ ম্যাককনেল ও নিম্নকক্ষের স্পিকার পল রায়ানের মতো প্রতিষ্ঠিত অনেক রিপাবলিকান নেতার সমালোচনা করেছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com