শিরোনাম
যানজট এড়াতে সাঁতরিয়ে নদী পাড়ি দেন ডেভিড
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০১৭, ১০:৫৯
যানজট এড়াতে সাঁতরিয়ে নদী পাড়ি দেন ডেভিড
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

শহরের ব্যস্ত সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছানো দুষ্কর হয়ে পড়েছিল বেনজামিন ডেভিডের জন্য। যানজটে বসে থেকে অফিসে পৌঁছাতে পৌঁছাতেই ক্লান্ত হয়ে যেতেন তিনি। এ সমস্যার একটা জুতসই সমাধান খুঁজছিলেন ডেভিড।


প্রবাদ আছে, সমস্যা থাকলে সমাধানও মেলে। জার্মানির মিউনিখের বাসিন্দা ডেভিড ঠিক বের করে নিলেন অভিনব এক উপায়। ব্যস্ত সড়কের পাশে শান্ত ইসার নদীকে বেছে নিলেন যাতায়াতের পথ হিসেবে।


প্রতিদিন পানিনিরোধক একটি ঝোলায় ঢুকিয়ে নেন ল্যাপটপ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব জিনিস। এরপর প্রয়োজনমতো সাঁতারের পোশাক পরে ঝোলাটা কাঁধে নিয়ে নেমে যান ইসার নদীতে। বেশ আরাম করে সাঁতরে সাঁতরে অফিসের কাছে কালচার তীরে পৌঁছান তিনি। সেখানে পোশাক পাল্টে একটি পানশালায় গিয়ে ফরমাশ করেন বড় এক মগ কফি। এতে যেমন তাঁর সময় বাঁচে, তেমনি ফুরফুরে থাকে তাঁর মেজাজটাও।


সারাদিন কাজের পর মাঝে মাঝে সাঁতরে বাড়িও ফেরেন ডেভিড। তিনি জানান, তাঁকে সাঁতরাতে দেখলে খুব অবাক হন তীরের পথচারীরা। সহকর্মীরা তো রীতিমতো তাঁকে হিংসাই করেন। তবে কেউ কেউ মাঝেমধ্যে তাঁর সঙ্গে সাঁতারে যোগ দেন।


ডেভিড বলেন, সাঁতারের জন্য পানির তাপমাত্রা নির্ণয় করে নেয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আল্পস পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন হয়েছে ইসার নদী। গ্রীষ্মে বেশ উষ্ণ থাকলেও শীতে পানি অনেক ঠাণ্ডা। তাই প্রতিদিন তাপমাত্রা আগে থেকে ইন্টারনেটে দেখে নিয়ে সেই অনুযায়ী সাঁতারের পোশাক নির্বাচন করেন তিনি।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com