শিরোনাম
প্রণব মুখার্জির শেষ ইফতার পার্টি, ছিলেন না মোদি
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০১৭, ১৩:৪৬
প্রণব মুখার্জির শেষ ইফতার পার্টি, ছিলেন না মোদি
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নিজের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে শেষবারের মতো ইফতার পার্টির আয়োজন করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।

 

আগামী ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে প্রণবের। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রণব মুখার্জির দেয়া ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন দেশটির উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের প্রধান সিরাজ্জুদ্দিন কুরেশি, রাজ্যসভার সাবেক সাংসদ মহসিনা কিদওয়াইসহ প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

 

তবে উপস্থিত ছিলেন না দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কোনো মন্ত্রী। এমনকি কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির একজন নেতাকেও চোখে পড়েনি। আর এই অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়েছে।

 

এ বিষয়ে সীতারাম ইয়েচুরি জানান, ‘ইফতারে কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা সরকারের তরফে প্রতিনিধি হাজির ছিলেন না। এমনকি বিজেপি নেতাদেরও দেখা যায়নি। গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রপতির দেয়া ইফতারে সরকারের তরফে একজন প্রতিনিধিকেও উপস্থিত থাকতে দেখিনি।’

 

সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ জাভেদ আলি খান জানান, ‘রাষ্ট্রপতির দেয়া ইফতারে আমি একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও দেখিনি। অতীতেও রাষ্ট্রপতি ভবনে আমি তিনবার ইফতার পার্টিতে অংশ নিয়েছিলাম এবং সেসময় আমি রাজনাথ সিং, মুক্তার আব্বাস নাকভি, মহেশ শর্তা, বিজয় গোয়েলের মতো মন্ত্রীদেরকে দেখেছিলাম। কিন্তু এবার কাউকেই দেখা যায়নি।’

 

সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি জানান, ‘ইফতার পার্টিতে আমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেসময়ই সিসিপিএ-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল এবং ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকাটা খুব জরুরি ছিল।’

 

তবে এবারই নয়, গত বছরও রাষ্ট্রপতির ইফতারে যাননি মোদি। অটলবিহারী বাজপেয়ী, মনমোহন সিংয়ের মতো তার উত্তরসূরীরা ইফতার পার্টি দিলেও ২০১৪ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেই রীতি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কেউ কেউ বলছেন, এনডিএ প্রার্থী হিসেবে রাম নাথ কোভিন্দ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকেও হয়তো আগামী পাঁচ বছর ইফতারের আয়োজন উঠে যেতে পারে।

 

এদিনের অনুষ্ঠান থেকে এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি জানান, ‘রমজানের উদ্দীপনা যেন আমাদের সকলের মধ্যে ধীরে ধীরে একতা ও গর্বের কারণ হতে পারে। সূর্যাস্তের সময় প্রার্থনার পরই ইফতারের খাবার পরিবেশন করা হয়, উপবাস ভাঙার ক্ষেত্রে, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ...।’       

 

বিবার্তা/ডিডি/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com