শিরোনাম
দিনে পিএইচডি, রাতে স্বামীর সঙ্গে পরোটা বেচেন স্নেহা
প্রকাশ : ২৮ মে ২০১৭, ১১:৩০
দিনে পিএইচডি, রাতে স্বামীর সঙ্গে পরোটা বেচেন স্নেহা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

যেভাবেই হোক শেষ করতে হবে পিএইচডি’র পড়াশোনা। আর তাই সকালে পড়াশোনা করে রাতে স্বামীর সঙ্গে পরোটা বিক্রি করেন ভারতের মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা স্নেহা লিম্বগাওমকর।

 

প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠে শুরু করেন পড়াশোনা। দুপুর গড়িয়ে এলে বইপত্র ছেড়ে লেগে পড়েন ময়দা মাখা, তরকারি কাটা ও মশলা বাটার কাজে। সন্ধ্যা নামলেই কেরালার কারিয়াভাত্তোমে টেকনোপার্কের কাছেই রাস্তার ওপর স্বামী প্রেমশঙ্কর মাণ্ডালের অস্থায়ী খাবারের দোকানে পৌঁছে যান স্নেহা। অনেক রাত পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী মিলে লেগে থাকেন ওমলেট, পরোটা, দোসা তৈরিতে। বাড়ি ফিরে ফের শুরু করেন পড়াশোনা।

 

জানা যায়, সামিাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অরকুটে প্রথম আলাপ। সেখানে থেকেই প্রেম। কিন্ত বাধ সাধেন স্নেহার বাবা-মা। পছন্দ নয় পাত্র। বাড়ি থেকে পালিয়ে ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করেন স্নেহা। কিন্তু পড়াশোনাটা কোনোভাবেই ছাড়তে চাননি। ডক্টরাল রিসার্চ ফেলোশিপ নিয়ে চলে যান কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে। তখন ক্যাগে (সিএজি) চাকরি করতেন প্রেমশঙ্কর। এ অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে দিল্লির সেই কাজ ছেড়ে চলে আসেন প্রেমশঙ্কর।

 

কিন্তু স্নেহার স্কলারশিপের টাকায় পড়াশোনা এবং সংসার চালানো দায়। এ অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে শুরু করেন এই ছোট ব্যবসা। এখন তাদের লক্ষ্য পিএইচডি শেষ করে জার্মানি পাড়ি দেয়া। ভবিষ্যতে নিজের রেস্তোরাঁ খোলারও স্বপ্ন দেখেন এ দম্পতি।

 

প্রতিদিন সন্ধ্যার মধ্যে পড়াশোনা শেষ করে দু’জনে মিলে চালান পরোটার দোকান। অল্পদিনের মধ্যে স্নেহা-প্রেমশঙ্করের ছোট খাবারের দোকানটি রীতিমতো হিট। তাদের দোকানের একজন ক্রেতা স্নেহা-প্রেমশঙ্করের এই কাহিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন। তারপর থেকে তাদের কঠিন লড়াই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।

 

বিবার্তা/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com