জবাইয়ের জন্য গবাদি পশু বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার কেরালার একাধিক জায়গায় পালন করা হয় ‘বিফ ফেস্ট’।
রাজ্যটির শাসক দলের জোট সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ’এর কর্মী সমর্থকরা ছাড়াও এই উৎসবের আয়োজন করে রাজ্যটির বিরোধী জোট কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এবং তাদের যুব সংগঠনগুলো।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে সাক্ষাত করবেন বলে জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
হাট থেকে গরু, মহিষসহ যে কোনো গবাদি পশু কিনে তা জবাই করা যাবে না। সারা ভারতেই এই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়বে মাংস, চামড়ার ব্যাবসায়।
কেন্দ্রের এই ঘোষণায় দেশজুড়েই প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কেরালায় বাম-ডান সব দলের কর্মী-সমর্থকরাই এনিয়ে পথে নেমেছে। এদিন রাজ্য জুড়ে বিফ ফেস্টিভ্যালের পাশাপাশি রাজ্যের দুই শতাধিক স্থানে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনের আয়োজন করা হয়।
তিরুবন্তপুরমে রাজ্যের সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি বিফ রান্না করে পরে তা সাধারণ মানুষদের মধ্যে পরিবেশন করা হয়। বামপন্থী যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই’এর সর্বভারতীয় সভাপতি মহম্মদ রিয়াজ জানান কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হিসাবে আমরা বিফ রান্না করে তা খেয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও একটা বার্তা দিতে চেয়েছি।
কোল্লামে একদল কংগ্রেসকর্মী দলের পার্টি অফিসের সামনেই গোমাংস রান্না করে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে। কংগ্রেসের জেলা প্রধান বিন্দু কৃষ্ণ জানান গরুর মাংস রান্না করে তা প্যাকেটজাত করে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে মোদির কাছে পাঠানো হবে।
কোচিতে বিফ ফেস্টিভ্যালে হাজির ছিলেন রাজ্যটির পর্যটনমন্ত্রী কদকমপল্লী সুরেন্দ্রান। ওই অনুষ্ঠানে রুটি ও গোরুর মাংস পরিবেশন করা হয়।
শুক্রবার কেন্দ্রের পরিবেশমন্ত্রী হর্ষ বর্ধণ জানিয়ে দেন সরকারের নতুন আইন খুবই নির্দিষ্ট এবং পশুবাজার ও গবাদি পশু বিক্রি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেই তা আনা হয়েছে।
বিবার্তা/ডিডি/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]