শিরোনাম
হঠাৎ তৎপর ‘রাশিয়ার ঘাতক উপগ্রহ’
প্রকাশ : ২২ মে ২০১৭, ১৮:১৫
হঠাৎ তৎপর ‘রাশিয়ার ঘাতক উপগ্রহ’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

রাশিয়ার তিন কৃত্রিম উপগ্রহ প্রায় দু’বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর হঠাৎ করেই তৎপর হয়ে উঠছে। এ তিন কৃত্রিম উপগ্রহকে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছিল।


কসমস-২৪৯১, ২৪৯৯ এবং ২৫০৪ নামের এ তিন উপগ্রহকে নিয়মিত যোগাযোগ উপগ্রহ পাঠানোর কর্মসূচির আড়ালে কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল। অবশ্য কক্ষে স্থাপনের পর এ তিন উপগ্রহের তৎপরতায় দেখা গিয়েছিল অস্বাভাবিকতা। এতে পর্যবেক্ষকদের নজর পড়ে এ তিনের ওপর। কিন্তু তারপরই হঠাৎ করে এ গুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।


দীর্ঘ দু’বছর পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় থাকার পর হঠাৎ তৎপর হওয়ায় বিস্মিত হয়েছেন পশ্চিমা পর্যবেক্ষকরা। ধারণা করছেন, মহাকাশ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। রহস্যজনক এ গুলোকে তারা ‘রাশিয়ার ঘাতক উপগ্রহ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তারা।


তাদের দাবি, পৃথিবীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না রেখেই মহাকাশে দীর্ঘ নিষ্ক্রিয়তার পর কৃত্রিম উপগ্রহ আবার পুরোপুরি সচল হয়ে উঠতে পারে কিনা তা নিয়ে হয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে রাশিয়া।


এ ছাড়া, কৃত্রিম উপগ্রহকে আড়াল বা লুকিয়ে রাখার একটি কৌশল হতে পারে যে এগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। তাতে একে কক্ষপথের আবর্জনা হিসেবে ভুল করা হবে। পরে সময় মতো তা আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে।


এর একটি বিগত মাসে চীনের বাতিল আবহাওয়া উপগ্রহের মাত্র ১১৮৩ মিটার দূর দিয়ে অতিক্রম করেছে। মহাকাশে একে ‘বিপজ্জনক ভাবে গা ঘেঁসে যাওয়া’ হিসাবে করা হয়। এ ছাড়া, কসমস-২৪৯৯ও নিজে থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করছে বলে দেখতে পাওয়ার দাবি করেছেন পশ্চিমা পর্যবেক্ষকরা।


পশ্চিমা গবেষকরা মনে করছেন, পরবর্তী প্রজন্মের মহাকাশ অস্ত্র পরীক্ষার অংশ হিসেবে এ গুলোকে কক্ষে পাঠানো হয়েছে। অবশ্য রাশিয়াই একক ভাবে কেবল মহাকাশ অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা করছে না। এরই মধ্যে আমেরিকা, সুইডেন, জাপান ও চীন মহাকাশ অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। কৃত্রিম উপগ্রহ রক্ষণাবেক্ষণের নামে চালানো হয়েছে এ সব পরীক্ষা। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট ও আরটি


বিবার্তা/সোহান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com