স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর রুশ সীমান্তে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে সামরিক জোট ন্যাটো। রাশিয়া থেকে সুরক্ষা পেতেই নাকি এই বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স। জুলাইয়ের ন্যাটো সম্মেলনে স্বাক্ষরিত এক চুক্তিতে আগামী বছরের গোড়ার দিক থেকে রুশ সীমান্তে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ছিল। সেই সিদ্ধান্তই এবার কার্যকরী হতে চলেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযাযী প্রাথমিকভাবে মোতায়েনকৃত সেনার সংখ্যা হবে চার হাজার। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে সেটা আরো বাড়ানো হতে পারে। এই সিদ্ধান্তের আওতায় রাশিয়ার সঙ্গে পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া সীমান্তেও বাড়তি ন্যাটো সেনা মেতায়েন করা হবে।
সিরিয়াসহ নানা ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সাম্প্রতিক দূরত্বের ফলে সদস্য দেশগুলোকে এমন চাপ দিচ্ছে সংস্থাটি। অবশ্য এই সিদ্ধান্তের পালটা থেমে নেই রাশিয়াও। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এরইমধ্যে তার দেশের যুদ্ধ প্রস্তুতি বৃদ্ধি করেছেন। ন্যাটো সেনাদের চারটি টিমের নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেন ও কানাডা। পোল্যান্ডের মিশনে নেতৃত্ব দেবে আমেরিকা। এস্তোনিয়ায় নেতৃত্ব দেবে ব্রিটেন। এছাড়া বাড়তি সেনা সরবরাহ করবে ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও ইতালিসহ অন্য দেশগুলো।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ওয়ারস’তে ন্যাটো সম্মেলনে স্বাক্ষরিত এক চুক্তিতেও রাশিয়া সীমান্তে সেনা মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, মস্কো যদি সামগ্রিকভাবে যুদ্ধ শুরু করে তাহলে রাশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি ব্যাপকভাবে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা হবে।
আগামী বছরের গোড়ার দিক থেকে এটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। সেই সিদ্ধান্ত এখনই বাস্তবায়ন করতে চাইছে সংস্থাটি। আমেরিকার আশঙ্কা, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় রাশিয়া যা করেছে; সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতেও একই কাজ করতে পারে মস্কো। আর তাই ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে আগেভাগেই সুরক্ষা নেয়া প্রয়োজন।
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]