পাকিস্তানের কোয়েটায় একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কলেজে জঙ্গি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১১৬ জন। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের জিও টিভির অনলাইন ভার্সনে এ খবর জানানো হয়।
নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, জঙ্গিরা সোমবার রাতে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ঢুকে বন্দুকের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। এরপর তারা গুলি চালায় এবং নিজেদের কাছে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ কেন্দ্রের ভেতর থেকে অন্তত তিনটি বিস্ফোরণ ও অসংখ্য গুলির শব্দ শোনা গেছে বলেও জানায় তারা।
বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বলেন, জঙ্গিরা অত্যন্ত সমন্বিত উপায়ে পাঁচ দিক দিয়ে পুলিশ কেন্দ্রটিতে ঢুকে পড়ে। দুজন জঙ্গি আত্মঘাতী ছিল। বাকি একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছে।
পাকিস্তান ফ্রন্টিয়ার কোরের আইজি মেজর জেনারেল শের আফগান দাবি করেছেন, আফগানিস্তান থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জঙ্গিরা হামলার সময় তাদের নির্দেশদাতাদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ রাখছিল বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে চার ঘন্টার বন্দুকযুদ্ধের পর পুরো পরিস্থিতি নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসে। নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালিয়ে প্রায় সব প্রশিক্ষণার্থীকে উদ্ধার করেছে। সেখানে ছয় শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন বলা জানা গেছে।
বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটা। এখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও কথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) উভয় দলই অতীতেও এরকম আরো হামলা চালিয়েছে।
তবে পুলিশ প্রশিক্ষণ কলেজে চালানো এই হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি। বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি ও ফ্রন্টিয়ার কোরের আইজি মেজর জেনারেল শের আফগানের মতে, জঙ্গিরা আল-আমিনি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। এটি লস্কর-ই-জাংভি গোষ্ঠীরই অংশ।
এর আগে, গত আগস্টে কোয়েটার প্রধান হাসপাতালে এক হামলায় ৭০ জন মানুষ মারা যায়। সূত্র: ডন ও জিও টিভি
বিবার্তা/নিশি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]