
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় প্রতিদিনই আগ্রাসী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা লোকজনকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী। এতে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘন্টায় গাজায় কমপক্ষে আরও ৯৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩০ জন ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এতে করে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৬০০ জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ হাজার ৫৭৩ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে আরও ৯৪ জনের মরদেহ আনা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ২৫২ জন।
এই নিয়ে গত বছরের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৭ জনে। বিবৃতিতে বলা হয়, “অনেক মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে আছে, যাদের কাছে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন না।”
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গত ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৮৫১ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার ৬৩৪ জন।
এর আগে গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল আবারও গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী ৭ হাজার ৭৫০ জনকে হত্যা করেছে এবং আহত করেছে আরও ২৭ হাজার ৫৬৬ জনকে। অথচ এর আগে জানুয়ারিতে দুই পক্ষ একটি অস্ত্রবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তিতে পৌঁছেছিল।
গত নভেম্বরেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া গাজায় চালানো অভিযানের কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) একটি মামলা চলমান রয়েছে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]