
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মারদানে নিরাপত্তা বাহিনীর ড্রোন হামলায় ১১ বেসামরিক নিহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে।
২৯ মার্চ, শনিবার মারদানের কাতলাং তহসিলের অধীনে থাকা শামোজাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, ড্রোন হামলায় যারা মারা গেছে তারা বেসামরিক, তাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও আছে। এই বেসামরিকরা গবাদিপশু চরাতো বলেই ভাষ্য তাদের।
তবে খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক সরকার বলছে, বেসামরিকদের লক্ষ্য করে নয়, হামলা হয়েছিল সশস্ত্র জঙ্গিদের লক্ষ্য করে, তাতে ‘সশস্ত্র যোদ্ধা নয়’ এমন কয়েকজনও নিহত হয়েছে। একে অনিচ্ছাকৃত ‘আনুষঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতি’ অ্যাখ্যা দিচ্ছে তারা।
বিবৃতিতে খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার বলছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাটলাংয়ের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সশস্ত্র জঙ্গিদের গোপন আস্তানা ও ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা স্থানে একটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানটি ছিল সশস্ত্র জঙ্গিদের বিরুদ্ধে, তবে এতে ‘সশস্ত্র নয়’ এমন কয়েকজনও মারা পড়েছে। অভিযানে ওই অঞ্চলে ক্রিয়াশীল বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গিকে ‘নিস্ক্রিয়’ করা হয়েছে, বলা হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে।
“দুর্ভাগ্যবশত, পরে নিশানার কাছে নারী ও শিশুসহ যোদ্ধা নয় এমন ব্যক্তিদের উপস্থিতির খবর আসে, এর ফলে বেসামরিক হতাহতের মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে,” বলা হয় প্রেস নোটে।
এ ঘটনার জন্য প্রাদেশিক সরকার পাহাড়ি এলাকার জটিল বিন্যাস এবং জঙ্গিদের বেসামরিকদের সঙ্গে মিশে থাকার কৌশলকে দায়ী করেছে।
ঘটনাটি ‘বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক’ অ্যাখ্যা দিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি ঘটনার কারণ বের করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তারা।
আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং নিহতদের পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ’ দেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ হামলার পর হতাহতদের আত্মীয়-পরিজন এবং শামোজাই ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা হামলায় নিহতদের মৃতদেহ সোয়াত মহাসড়কে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় যে রাখালরা নিহত হয়েছে তারা কাতলাং এলাকায় সাময়িক আস্তানা গেড়েছিল। প্রতি বছর শীতকালে তারা এরকম সাময়িক আস্তানা গাড়ে, পরে গ্রীষ্মকালে গবাদিপশু নিয়ে আপার সোয়াট অঞ্চলে ফিরে যায।
নিহতদের সবাই গুজ্জার সম্প্রদায়ের। সম্প্রদায়টির এক নেতা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও হতাহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
দাবি মানা না হলে ঈদুল ফিতরের পর পুরো গুজ্জার সম্প্রদায় রাস্তায় নামবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]