
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর আহতদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দেশটির রাজধানী নেপিদোতে একটি এক হাজার শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আহতদের লম্বা সারি দেখা যায়। কিছু আহত ব্যক্তি ব্যথায় ছটফট করছেন, অন্যরা হতবিহ্বল অবস্থায় পড়ে আছেন। প্রবল ভূমিকম্প যেন তাদের ওপর আকস্মিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
হাসপাতালটিতে বানের জোয়ারের মতো আসছেন আহতরা- কেউ গাড়িতে, কেউ পিকআপে, আবার কাউকে স্ট্রেচারে করে আনা হচ্ছে। তাদের শরীর রক্তাক্ত এবং ধুলোতে আচ্ছাদিত।
এদিন হাসপাতালটি নিজেও ভয়ংকর কম্পনে আক্রান্ত হয়েছিল। প্রায় ৩০ সেকেন্ড ধরে ভূমিকম্প হয়েছিল। এতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি খুব ক্লান্ত।
হাসপাতালটিতে দেখা যায়, কিছু আহত ব্যক্তি ব্যথায় চিৎকার করছিলেন, অন্যরা নিথর পড়েছিলেন, স্বজনেরা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কারও কারও হাতে ইনট্রাভেনাস ড্রিপ লাগানো ছিল।
হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, শত শত আহত মানুষ আসছে, কিন্তু এখানে জরুরি ভবনও ধসে পড়েছে।
আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প, যার কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে। এর তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন এবং থাইল্যান্ডে।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মিয়ানমারে অন্তত ২৫ জন এবং থাইল্যান্ডে একজন নিহত হয়েছেন। ব্যাংককে একটি বহুতল ভবন ধসে ৪৩ জন আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছে থাই পিবিএস।
সূত্র: এএফপি
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]