
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং ৪৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প, যার কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে। এর তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন এবং থাইল্যান্ডে।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মিয়ানমারে অন্তত ২৫ জন এবং থাইল্যান্ডে একজন নিহত হয়েছেন। ব্যাংককে একটি বহুতল ভবন ধসে ৪৩ জন আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছে থাই পিবিএস।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, প্রথম ভূমিকম্পের ১২ মিনিট পর মিয়ানমারে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়।
এদিন তীব্র কম্পনে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের চাতুচাক জেলায় নির্মাণাধীন একটি ৩০ তলা ভবন ধসে পড়ে। এতে একজন নিহত হয়েছেন, আরও অন্তত ৪৩ জন ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন।
মিয়ানমারের টাউংগু শহরের একটি মঠ ধসে পাঁচজন বাস্তুচ্যুত শিশু নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইলেভেন মিডিয়া গ্রুপ।
এছাড়া, মান্দালয় অঞ্চলে শুক্রবারের জুমার নামাজের সময় শ্বে ফো শিং মসজিদ ধসে অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে খিত থিত মিডিয়া।
এক উদ্ধারকর্মী বলেন, আমরা নামাজ পড়ছিলাম, তখনই ভবনটি ধসে পড়ে। অন্তত তিনটি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। অনেকে আটকা পড়েছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন মারা গেছেন, তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভূমিকম্পে ঐতিহাসিক মান্দালয় অঞ্চলের আভা সেতু ধসে পড়েছে এবং মান্দালয় প্রাসাদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এমআরটিভি জানায়, সাগাইং, মান্দালয়, মাগওয়ে, উত্তর-পূর্ব শান রাজ্য, নেপিদো কাউন্সিল এলাকা এবং বাগো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডও ব্যাংকককে ‘জরুরি এলাকা’ ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে থাই পিবিএস নিউজ। ভূমিকম্পের কারণে থাইল্যান্ডের স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে থাই এনকোয়ারার।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর একটি প্রধান হাসপাতালে বহু আহত ব্যক্তিকে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভূমিকম্পের ফলে মোবাইল নেটওয়ার্কেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে ভবন ও সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]