
পবিত্র রমজান মাস ও ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসবের (পাসওভার নামে পরিচিত) সময় ফিলিস্তিনের গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মতি রয়েছে ইসরাইলের।
রবিবার ((২ মার্চ) ভোরে এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ সাময়িক যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব দিয়েছেন।
উইটকফের এ প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথম দিনেই গাজায় আটক জিম্মিদের অর্ধেক (জীবিত ও মৃত) মুক্তি দেয়া হবে। স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হবে।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে উইটকফের প্রস্তাবের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি তিনি।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, হামাস মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত হলে ইসরাইল তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে চায়।
গাজাসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে শনিবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। আর এ বছর ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসব শুরু হবে ১২ এপ্রিল। চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।
এদিকে মিশরের কায়রোতে গাজায় দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার কোনো অগ্রগতি হয়নি। ইসরাইল নতুন কোনো শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতির বর্তমান কাঠামোকেই দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনা করছে।
গেল ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শুরু হয়। স্থানীয় সময় শনিবার, যুদ্ধবিরতির ছয় সপ্তাহের এ ধাপ শেষ হয়। এ সময়ের মধ্যে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে বন্দি বিনিময় হয়।
কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কায়রোতে একাধিক দফা আলোচনা হলেও কোনো সমাধান আসেনি। হামাসের অভিযোগ, ইসরাইল শুধু বন্দি উদ্ধারের কৌশল নিয়েই ভাবছে, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপের আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছে।
তবে হামাস সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা ইসরাইলের দেয়া নতুন কোনো নিয়ম মানবে না। মূলত দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করে, নতুন বন্দি বিনিময়ের শর্তে প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়াতে চায় তেল আবিব।
ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির বর্তমান কাঠামো বাড়ানো সম্ভব হলে তা করা হবে, কিন্তু নতুন কোনো শর্ত তারা মানবে না।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক। এ চুক্তি কার্যকরে সবপক্ষকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। গাজায় যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় মানবিক সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি না থাকলে মানবিক সহায়তা সম্ভব নয়।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]