ফিলিস্তিনের গাজায় একের পর এক বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল বাহিনী। ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে নারী-শিশুসহ অসংখ্য ফিলিস্তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় হামলায় গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের সদর দপ্তরের বিপরীতে একটি ভবনে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে তিনজন চিকিৎসা কর্মীও রয়েছেন।
হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বোমা হামলার পর বেইট লাহিয়া প্রজেক্ট এলাকায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের বিপরীতে একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আমাদের তিনজন মেডিকেল স্টাফসহ প্রায় ৫০ জন শহীদ হয়েছেন।
আবু সাফিয়া বলেন, চিকিৎসা কর্মীরা হামলার শিকার ওই ভবনে উপস্থিত ছিলেন কারণ তারা তাদের পরিবার নিয়ে সেখানে থাকতেন। তিনি নিহত কর্মীদের শনাক্ত করেছেন। যাদের একজন আহমেদ সামুর, তিনি একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। এছাড়া হামলায় নিহত ইসরা একজন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান এবং ফারেস নামে এক ব্যক্তিও রয়েছেন যিনি হাসপাতালের রক্ষণাবেক্ষণ প্রযুক্তিবিদ।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে পুনরায় সংগঠিত হতে বাধা দিতে ইসরায়েল গত ৫ অক্টোবর থেকে উত্তর গাজায় বড় আকারের স্থল আক্রমণ শুরু করে। ফিলিস্তিনিরা অবশ্য ইসরায়েলকে এলাকাটি দখল করতে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
ইসরায়েলের সেই স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানিসহ পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা এই অঞ্চলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর ফলে সেখানে অবস্থানরত অবশিষ্ট জনসংখ্যা সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
বিবার্তা/মাসুম