থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
১৮ আগস্ট, রবিবার থাই রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর শপথ নেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পেতংতার্ন। তিনি থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী এবং সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হলেন। পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বিতর্কিত সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিনের মেয়ে। এর আগে পেতংতার্নের ফুফুও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
গত বুধবার থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে পদচ্যুত করেন। একই সঙ্গে মন্ত্রীসভাও ভেঙে দেওয়ার রায় দেন আদালত।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত একজন আইনজীবীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ফলে ‘নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘনের’ অভিযোগ মাথায় নিয়ে তাঁকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। এর দুদিন পর পেতংতার্নকে নতুন ও সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে দেশটির পার্লামেন্ট।
নির্বাচিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পেতংতার্ন বলেছিলেন, স্বীকার করছি আমার অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে। তবে থাই নাগরিকদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে ও তাঁদের ক্ষমতাবান করার চ্যালেঞ্জ নিতে আমি তৈরি আছি।
প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ডের স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন পেতংতার্ন। সিনাওয়াত্রা পরিবারের মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল শিল্প গোষ্ঠীতে কয়েক বছর কাজ করেছেন তিনি। তার স্বামী ওই শিল্প গোষ্ঠীর উপ-প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
২০২১ সালে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে দলের নেতা হিসাবে নিযুক্ত হন। তার এই নিয়োগ থাইল্যান্ডের শীর্ষ নেতৃত্বে নতুন শক্তি এনেছে।
ফেউ থাই পার্টির সদস্যরাও আশা করছেন– তিনি দলের রাজনৈতিক ভাগ্য পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করতে পারেন।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]