পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর সাবেক প্রধান (ডিরেক্টর জেনারেল) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফাইয়াজ হামিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শালে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।
১২ আগস্ট, সোমবার আবাসন সংক্রান্ত দুর্নীতির এক মামলায় জড়িত সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, অবসর গ্রহণের পর পাকিস্তান সেনা আইনের একাধিক লঙ্ঘন করেছেন হামিদ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদকে (অব.) সামরিক হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে বিবৃতিতে তার বিরুদ্ধে আনা সামরিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইএসআইয়ের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ফয়েজ হামিদ।
পাকিস্তান সেনার সবচেয়ে দুঁদে কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়াজ হামিদ। ২০১৯ সালের জুন মাসে তিনি দেশের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধানের দায়িত্ব নেন। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কাছে সেনার তরফে বাহিনীর দুই শীর্ষ পদে যে ছয় কর্মকর্তার নাম সুপারিশ করা হয়েছিল, তাতে ফৈয়াজের নাম ছিল। কিন্তু সেনার দুই শীর্ষ পদে তার নাম বিবেচিত হয়নি। ফলে সেনাবাহিনী থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
পাকিস্তানে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে এবং ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তার ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন ফৈয়াজ। দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার কন্যা মরিয়ম নওয়াজের তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রাক্তন আইএসআই প্রধান। যদিও আইএসআই প্রধান হিসাবে বেশ কিছু বিতর্কিত কাজকর্মের জন্য ফৈয়াজকে সতর্ক করে দিয়েছিল পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি কড়া ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সেনাকে নির্দেশও দিয়েছিল।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]