
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে প্রবল বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় গাছ, দেয়াল ও বাড়ির ছাদ ধসে পরার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহতের সংখ্যাও বেড়েছে। আকস্মিক এ দুর্যোগে অন্তত ৩৪৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। প্রাদেশিক রাজধানী জালালাবাদ, সুখ রদ জেলা এবং পাকিস্তান সীমান্তবর্তী প্রদেশের আশপাশের এলাকাগুলোতে এই দুর্যোগ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শরাফত জামান অমরখিল জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার সকালে নানগারহারের পার্শ্ববর্তী কুনার প্রদেশেও একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে গত মে মাস থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় চার শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
নানগারহার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় জালালাবাদের প্রাদেশিক রাজধানীতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ ছিল। অনেক নাগরিক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে হাসপাতালে রক্ত দিয়েছেন।
তালেবান সরকারের একজন মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আমরা নিহতদের পরিবারের জন্য শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি।
মুজাহিদ এক্সে দেয়া এক পোস্টে বলেন, ইসলামি আমিরাতের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তারা বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে আশ্রয়, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করবে।
আফগানিস্তানে মে মাসে আকস্মিক বন্যায় শত শত লোক মারা যাওয়ার পর এবং দেশের কৃষিজমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। যেখানে জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ বেঁচে থাকার জন্য কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]