ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরুর দিনেই ব্রিটেনকে একতরফা কোনো উদ্যোগ না নিতে সতর্ক করে দিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট অ্যান্তোনিও তাজানি। দুই বছরের মধ্যে এ জোট ছেড়ে যাওয়ার আগে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ ইইউ আইনের পরিপন্থী হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার দেন-দরবার ও ইইউ-র বাইরে নিজেদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা একইসাথে চালানোর যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা ইইউ প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেছেন, ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়ার কারণে দেশটিকে কোনো শাস্তি দেয়ার ইচ্ছা থাকা উচিত নয়। তবে এটি যুক্তরাজ্যকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে।
ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরুর জন্য ৫০ নং অনুচ্ছেদ কার্যকরের চিঠির প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জাঁ ক্লড দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এপ্রিলের শেষ নাগাদ এই চিঠির প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হবে। ২৯ এপ্রিল তাদের একটি কাউন্সিল বসার কথা রয়েছে। তার আগে তিনি চুপ থাকার চেষ্টা করবেন। তার কাছে ব্যক্তিগত মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গি ভেহোস্টাট বলেছেন, ব্রিটেনে বসবাসরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ত্রিশ লাখ নাগরিক এবং ব্রিটেনের বাইরে ইউনিয়নের অন্যত্র বসবাসকারী দশ লাখ ব্রিটিশ নাগরিকদের রক্ষায় একটি চুক্তি চান তিনি। এ বছরের শেষ নাগাদই এই চুক্তিটি সম্পন্নের প্রত্যাশা জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা জোর দিয়ে বলেছেন যে, ইইউ ছাড়ার পরও সেখানকার বাণিজ্যিক সুবিধা ধরে রাখতে পারবে ব্রিটেন। এছাড়া তিনি একটি পারস্পরিক বাণিজ্য চুক্তি চান যা ইউরোপের একক বাজারে ব্রিটেনকে স্বাধীনভাবে বাণিজ্য করার সুযোগ করে দেবে।
বিবার্তা/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]