জাপানের সামুদ্রিক আত্মরক্ষা বাহিনীর (জেএমএসডিএফ) দুইটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজন ক্রু সদস্যের একজন নিহত এবং সাত জন নিখোঁজ রয়েছেন। হেলিকপ্টার দুইটির মধ্যে সংঘর্ষের কারণে সাগরে এ বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে।
শনিবার প্রশিক্ষণ অনুশীলনের সময় হেলিকপ্টার দুইটি বিধ্বস্ত হয়।
জাপানের সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্সের (এসডিএফ) একজন মুখপাত্র ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
মধ্য জাপানের দক্ষিণ উপকূলে প্রত্যন্ত ইজু দ্বীপপুঞ্জের তোরিশিমার কাছে সাবমেরিন বিরোধী মহড়া চালাচ্ছিল ওই দুই এসএসইচ-৬০ টহল হেলিকপ্টার। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী এনএইচকে এবং কিয়োডো জানিয়েছে, নিখোঁজ ক্রুদের জন্য অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, উভয় ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিহারা মিনোরু রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সম্ভবত দুটি হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিনোরু কিহারা বলেন, বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের কিছু অংশ সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুই হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
কিহারা বলেন, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে প্রথমে আমরা জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছি। উদ্ধারের পর একজন ক্রু মারা গেছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রশান্ত মহাসাগরের ইজু দ্বীপপুঞ্জের কাছে সাবমেরিন মোকাবিলায় রাতের প্রশিক্ষণের সময় হেলিকপ্টারগুলো বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
চীন ও উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান উত্থানের কারণে জাপান প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র-এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতা গভীর করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে জাপানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাহম ইমানুয়েল অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
গত এপ্রিলে জাপানি সেনাবাহিনীর একটি ইউএইচ-৬০জেএ হেলিকপ্টার ১০ জন আরোহী নিয়ে দক্ষিণ ওকিনাওয়ার মিয়াকো দ্বীপে বিধ্বস্ত হয়। এতে আরোহীদের সবার মৃত্যু হয়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]