শিরোনাম
বিমানে ল্যাপটপ-ট্যাবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০১৭, ২২:০৯
বিমানে ল্যাপটপ-ট্যাবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

তুরস্ক, কাতার, কুয়েত ও সৌদি আরবসহ কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের বিমান ভ্রমণের সময় ল্যাপটপ ও ট্যাব ব্যবহারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা শনিবার থেকে কার্যকর হতে শুরু করেছে।


শনিবার আল জাজিরার খবরে বলা হয়, এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য বিমানবন্দরগুলোকে শনিবার পর্যন্ত চার দিন সময় দেওয়া হয়েছিল।


কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে স্মার্টফোনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বড় ডিভাইসগুলো ভ্রমণের সময় নেওয়া যাবে না, সেগুলো ব্যাগে রেখে দিতে হবে। কেননা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আশঙ্কা, এসব ডিভাইসের মধ্যে বিস্ফোরক থাকার ঝুঁকি আছে। কেবল একটি এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ বোর্ডিংয়ের আগ পর্যন্ত ডিভাইস ব্যবহারের অনুমোদন দিচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এয়ারলাইন এমিরেটস এ বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে। তবে অন্য দেশ থেকে যারা দুবাই হয়ে অর্থাৎ দুই ধাপের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন তারা প্রথম ধাপের ফ্লাইটে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন। যাত্রীদের হতাশা দূর করতে অনেক এয়ারলাইন্স আবার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। কেউ কেউ ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা দিয়েছে আবার কেউ কেউ মোবাইলের জন্য বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে।


দেশ দুটির এমন সিদ্ধানের পর বিরূপ প্রতিক্রিয়া আসছে যাত্রীদের কাছে থেকে।


বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে তুরস্ক, লেবানন, জর্ডান, মিশর, তিউনিসিয়া, কাতার, কুয়েত ও সৌদি আরবের এয়ারলাইন্স। এসব দেশ থেকে আসা এয়ারলাইন্সকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চারদিন সময় দেয়া হয়েছিল।


তুরস্কের ইস্তাম্বুলের একজন ব্যবসায়ী ইব্রাহীম কস্কুন বলছেন, বর্তমান যুগে এই সিদ্ধান্ত একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। কেননা বিমান যাত্রীদের অনেকেই ল্যাপটপ বা ট্যাবলেটে গান শোনেন বা সিনেমা দেখেন।


তিনি বলছেন, আজকের দিনে প্রযুক্তির অগ্রগতির সময়ে এমন সিদ্ধান্ত খু্ব ভয়াবহ। আজকাল সবার কাছেই একটা ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট থাকে। যা তারা নানা ধরণের কাজেই ব্যবহার করে। এমন সিদ্ধান্তের আমি নিন্দা করছি।


মিশরের একজন নাগরিক আহমেদ র‍্যামজি বলছেন, এটি একটি অর্থহীন সিদ্ধান্ত। এ ধরের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কখনোই সন্ত্রাস বন্ধ করা যাবে না।


এদিকে, ব্রিটিশ সরকার বলছে, বিমান যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।


আর মার্কিন সরকার বলছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো যাত্রীবাহী বিমানকে ইদানীং অনেক বেশি টার্গেট করছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।


হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র শন স্পাইসার বলছেন, গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বাণিজ্যিক বিমানগুলোকে টার্গেট করতে নানা রকম নতুন উদ্ভাবনী কায়দা ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।


তবে শুধু কয়েকটি দেশের ওপর এটি আরোপ হচ্ছে বলে এটিকে বর্ণবাদী আচরণও বলছেন বিশেষজ্ঞ ও সমালোচকরা।


বিবার্তা/সোহান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com