নিজ বাড়িতে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২০২১ সালে নিহত হন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি। এ ঘটনায় আহত হন তার স্ত্রী মার্টিন মইসেও। সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। স্বাভাবিকভাবেই মার্টিনের জন্য সমবেদনা ছিল সবার। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, হত্যাকাণ্ডে কলকাঠি নেড়েছিলেন খোদ ফার্স্টলেডিই, আর সঙ্গে ছিলেন দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লাউডি জোসেফ।
এবার সেই ঘটনায় জোভেনেল মইসির স্ত্রী মার্টিন মইসিসহ ৫০ জনকে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির বিচারপতি ওয়ালথার ওয়েসার ভলতেয়ার। এ হত্যার ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্বে থাকা ওই বিচারপতি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় এক প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক এক পুলিশ প্রধানও রয়েছেন।
ফাঁস হওয়া ১২২ পৃষ্ঠার একটি নথি গত সোমবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আয়িবো পোস্টে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকেই এই তথ্য জানা গেছে। ফাঁস হওয়া ওই নথিতে হত্যার পরিকল্পনার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। খুনিদের মধ্যে বেশির ভাগ কলম্বিয়ার ভাড়াটে খুনি ছিল।
এদের মধ্যে ছয়জন মইসিকে অপহরণের জন্য কলম্বিয়ার ভাড়াটে খুনিদের ঠিক করেছিল। তবে শেষে তাঁকে অপহরণ না করে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
নথিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট মইসিকে হত্যার ঘটনায় ৫০ জনের মতো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ওয়ালথার ওয়েসার ভলতেয়ার।
হত্যাকাণ্ডে হাইতির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিচালক লিওন চার্লসও জড়িত ছিলেন বলে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সম্পর্কে ফাঁস হওয়া নথিতে সুস্পষ্ট কিছু পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া নথিতে বলা হয়েছে, স্বামীকে খুন করে মার্টিন মইসি নিজেই প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছিলেন।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]