বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদের মাটি ছুঁয়ে জাপানের ইতিহাস
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৮
বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদের মাটি ছুঁয়ে জাপানের ইতিহাস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদে সফল অবতরণ করেছে জাপানের চন্দ্রযান ‘মুন স্নাইপার’। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে দেশটির চন্দ্রযান স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (স্লিম) চাঁদের শিওলি কার্টার নামের একটি এলাকায় অবতরণ করেছে।


২০ জানুয়ারি, শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা)।


বিবৃতিতে বলা হয়ছে, শুক্রবার জাপানের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ২০ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে স্লিম। তবে নভোযানটির সোলার প্যানেলগুলো কাজ করছে না। এ কারণে ব্যাটারি থেকে ‘ব্যাকআপ’ শক্তি নিয়ে এগোতে হচ্ছে স্লিমকে।


চাঁদের এই অঞ্চলটি বর্তমানে সূর্যালোক পাচ্ছে, শিওলি কার্টারের অবস্থান সেখানে। চলতি মাসের শেষের দিকে অবশ্য এই অঞ্চলটি আড়ালে চলে যবে।


শুক্রবার মধ্যরাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাক্সার গবেষণা বিভাগের প্রধান হিতোশি কুনিনাকা বলেন, ‘এক মাস আগে চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল স্লিম। সে সময় সূর্যের অবস্থান যেখানে ছিল— এখন আর সেখানে নেই। ফলে গত বেশ কয়েক দিন ধরেই সৌরশক্তি গ্রহণ করতে পারছে না স্লিমের সোলার প্যানেলগুলো।’


বর্তমানে স্লিমের ব্যাটারিতে যে পরিমাণ শক্তি সঞ্চিত রয়েছে, তাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা নভোযানটি সচল থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন কুনিনাকা।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযান নামানোর জন্য এমন এলাকা বেছে নেয়ার কারণ চাঁদের বুকের ঢাল। ঐ এলাকার জমি ১৫ ডিগ্রির কম ঢালু, যা চন্দ্রযান ল্যান্ডার নামানোর জন্য আদর্শ বলে মনে করা হয়।


দেশটির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদে পানি ও মানুষের বাসস্থানের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে চন্দ্রযানটি। চাঁদে পানির রহস্য খুব সহজেই উদঘাটন করতে পারবে যানটি।


তবে মহাকাশযানটির সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়ায় এরইমধ্যে বিজ্ঞানীদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। বর্তমানে ব্যাটারির ওপর নির্ভর করছে যানটি, ফলে মিশনটি হুমকির মুখে পড়তে পারে। যদিও জেএএক্সএ জানিয়েছে, ব্যাটারির শক্তি শেষ হওয়ার আগেই সোলার সিস্টেম সচলের চেষ্টা চালছে।


জাপানের চন্দ্রযানটি থেকে চাঁদের বুকে যে রোভার নামবে সেটি এক্স-রে ছবি তুলবে। ‘স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেশন মুন’ নামের রোভারটি কৃষ্ণগহ্বর, নিউট্রন স্টার এবং সুপারনোভারের উচ্চ মানের এক্স-রে তুলে জাপানের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে পাঠাবে। ছবি থেকে সেগুলোর গঠন সম্পর্কে দেশটির বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট ধারণা পাবেন।


প্রসঙ্গত, জাপানের তানেগাশিমা দ্বীপের উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এইচ-আইআইএ রকেটে চড়িয়ে চন্দ্রযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। গত ২৫ ডিসেম্বর চাঁদের কক্ষপথে যানটি প্রবেশ করে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com