থালা-বাসন পরিষ্কার করায় ছিল আলি সোঙ্কোর এক মাত্র কাজ। বিশ্বের অন্যতম সেরা রেস্তোরাঁ নোমা-র ডিশ ওয়াশার ছিলেন তিনি। নোমার গ্রাহকদের কাছে আলি সোঙ্কোর অনাবিল হাসিটা বড়ই চেনা। হঠাত্ই তার পরিচয়টা পাল্টে গেল। তিনি কাজের লোক থেকে নোমার অন্যতম মালিক হয়ে গেলেন।
পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া থেকে বছর ১৫ আগে ডেনমার্কে এসেছিলেন আলি সোঙ্কো। ২০০৩-এ নোমা রেস্তোরাঁ খোলার সময় থেকেই এখানে ডিশ ওয়াশার হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। তারপর থেকে ১৪ বছরে সেই একই কাজ করে গিয়েছেন তিনি। অনাবিল থেকেছে মুখের হাসি। রেস্তোরা পত্রিকায় চার বার বিশ্বের সেরা রেস্তোরাঁগুলোর মধ্যে স্থাস পেয়েছে নোমা। স্যান পেল্লেগ্রিনোর মতে তিন বার বিশ্বের সেরা ৫০-এ ঢুকেছে। এত বছরে নোমার সঙ্গে একপ্রকার আত্মীয়তাই বাঁধনেই আটকে গিয়েছিলেন তিনি। নোমাও তাকে হতাশ করেনি।
নোমার প্রধান শ্যেফ ও অন্যতম মালিক রেনে রেডজেপি সম্প্রতি ঘোষণা করেন যে আলি সোঙ্কো এখন থেকে নোমার অন্যতম মালিক। এই রেস্তোরাঁর প্রতি তার এতো বছরের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন রেনে। নোমায় তার সহকর্মীরা সবচেয়ে সেরা মানুষ বলে জানিয়েছেন আলি। আপাতত কিছুদিন বন্ধ রয়েছে নোমা। নতুন ঠিকানায় শিগগিরই ফের চালু হবে এই রেস্তোরাঁ।
বিবার্তা/আকবর/হোসেন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]