
নতুন আতঙ্ক মাঙ্কিপক্স ইতোমধ্যে বিশ্বের ২২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। মাঙ্কিপক্সের সামাজিক সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে বলেও এ দিন সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) বলছে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের বায়ুবাহিত সংক্রমণের ‘তাত্ত্বিক’ সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে গত ২৩ মে পর্যন্ত বিশ্বের ১৮টি দেশে ১৬০ জন মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছিল। গত চারদিনে সেটি বেড়ে ২২৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
আফ্রিকার পর ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে ‘মাঙ্কিপক্স’ ভাইরাস। এছাড়া এশিয়ার দেশ ইসরাইল, সংযুক্ত আরব আমিরাতেও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
মাঙ্কিপক্সের জন্য নির্দিষ্ট কোনো টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে গুটি বসন্তের টিকা এ রোগ থেকে ৮৫ ভাগ সুরক্ষা দেয়। কারণ, দুটি ভাইরাসের ধরন প্রায় একই রকমের।
জ্বর, গায়ে ব্যথা, বড় আকারের বসন্ত মাঙ্কিপক্সের সাধারণ বৈশিষ্ট হলেও এ রোগের কারণে মুখ বা বিশেষ অঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি হয়।
ডব্লিউএইচও ধারণা করছে, এ রোগে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়। পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌনসম্পর্কের মধ্য দিয়ে এ রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সমকামী পুরুষদের সতর্ক হতে বলা হয়েছে। রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্সের একটি রূপ এতই ভয়ংকর, আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ মারা যেতে পারেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার কোনো উপায় নেই। তবে, অন্যান্য ভাইরাসের মোকাবিলার মতো উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে এর প্রকোপ কমানো যায়। যদিও এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান। সূত্র: গালফ নিউজ
বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]