
ফেঁসে যেতে পারেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। লকডাউনের মধ্যে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করা নিয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দেশটির পুলিশ।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, এ পরিস্থিতিতে বিরোধীদের মুখে বরিসের পদত্যাগের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। বিশেষ করে, লেবার পার্টির আইনপ্রণেতারা তার পদত্যাগ চাইছেন।
করোনা লকডাউনের সময় একাধিক পার্টি হয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাড়ি ১০ ডাউনিং স্ট্রিট এবং হোয়াইট হলে।
গত কয়েকমাসে পার্টিগুলোর কথা সামনে এসেছে। এর জেরে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে রয়েছেন বরিস জনসন।
এতোদিন যুক্তরাজ্যে বেসামরিক কর্মকর্তা সু গ্রে বিষয়টি নিয়ে স্বাধীন তদন্ত করছিলেন। মঙ্গলবার তিনি তার রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তারপরই যুক্তরাজ্যের মেট্রোপলিটন পুলিশ মামলাটির তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পুলিশ কমিশনার ক্রেসিডা ডিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গ্রে-র তদন্ত রিপোর্ট তাদের হাতে এসেছে। এবার পুলিশ নিজেদের মতো করে তদন্ত শুরু করবে। তবে গ্রে-র তদন্ত রিপোর্টে কী আছে, ক্রেসিডা তা জানাননি।
এদিকে পুলিশ তদন্তভার হাতে নেয়ার পরই নতুন করে বরিস জনসনের পদত্যাগ দাবি করেছে লেবার পার্টি। তাদের বক্তব্য, করোনাবিধি না মানার জন্য যখন দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছিল, তখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সেই নিয়ম ভেঙেছেন। এর জন্য তার বিরুদ্ধেও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, করোনার সময় তার বাসভবনে একাধিক পার্টি হয়েছে। এর বেশ কয়েকটিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০২০ সালে ‘নিজের মদ নিজে আনো’ পার্টিতে যোগ দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তিনি বলেছেন, ওই পার্টিগুলোকে তিনি কাজের অংশ হিসেবে দেখেছিলেন। লকডাউনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের পার্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র অবশ্য মঙ্গলবারও জানিয়েছেন যে, তিনি নির্দোষ। তাহলে কেন পুলিশ নতুন করে তদন্ত শুরু করল, সে উত্তর অবশ্য তিনি দেননি।
বিবার্তা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]