শিরোনাম
৫৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৫৭
৫৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

করোনা ভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী বিশ্বের ৫৭টি দেশে শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন দেশে বাড়ছে এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ডব্লিউএইচওর বৈশ্বিক করোনা মহামারি বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদিও এখন পর্যন্ত ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন সংক্রমণের হার কম; কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, বর্তমানে বিভিন্ন দেশে যেভাবে এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার সামনের দিনগুলোতে অনেক বাড়বে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও।’


গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববাসীকে প্রথম করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের ব্যাপারে অবহিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির জনস্বাস্থ্য ও জীবাণু বিশেষজ্ঞরা জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতোমধ্যে এ ধরনটিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।


তার দু’দিন পর, ২৬ নভেম্বর ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক ধরনের’ তালিকাভুক্ত করে ডব্লিউএইচও। এর আগে সাধারণভাবে করোনাভাইরাস হিসেবে পরিচিত সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ৪ টি রূপান্তররিত ধরনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল ডব্লিউএইচও।


দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ হাজারে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশ এসওয়াতিনি, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, নামিবিয়া ও লেসেথোতেও বাড়ছে এই ধরটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। করোনা টেস্টিংয়ের নিম্নহার ও গতিহীন টিকাদান কর্মসূচীর কারণেই এই ধরনটির উদ্ভব হয়েছে বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


এই ধরনটির বিধ্বংসী ক্ষমতা সম্পর্কে সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরাও এই ধরনটিতে সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কোনো ব্যক্তি যদি সুস্থ হয়ে ওঠেন, তার অর্থ হলো- তার দেহের নিজস্ব প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি এই ভাইরাসটিকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছে।


ডব্লিউএইচওর প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এই ভাইরাসটি মানুষের নিজস্ব প্রতিরোধী শক্তিকে ফাঁকি দিতে এবং দুর্বল করে দিতে সক্ষম।


সংস্থাটি জানায়, ‘এখন আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, টিকার ডোজ গ্রহণের পর মানুষের দেহে যে প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি গড়ে ওঠে, তাকে ওমিক্রন দুর্বল করতে সক্ষম কি না- এই বিষয়টিতে। এই গবেষণার জন্য আমাদের আরো তথ্য প্রয়োজন এবং সেসব সংগ্রহে কাজ করছে সংস্থা।’ সূত্র: রয়টার্স


বিবার্তা/আশিক

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com