রাশিয়া ও ইসরাইলের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র কিনেছে ভারত। দফায় দফায় সেই সব অস্ত্র আকাশপথে ভারতে আনাও হচ্ছে। একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, এসব অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে আছে বিপুলসংখ্যক অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল, রকেট লঞ্চার, বোমা, গ্রেনেড লঞ্চার এবং চালকবিহীন উড়ন্ত যান।
খবরে আরো বলা হয়, হঠাত এতো বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র কেনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, ভারত কি কোনো জরুরি পরিস্থিতির কথা ভেবে প্রস্তুতি নিচ্ছে? ওয়াকিবহাল মহলের ইঙ্গিত সে রকমই।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানায়, রাশিয়ার কাছ থেকে কয়েক হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল বা ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, অনেকগুলো টি-৯০ ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন (এই ট্যাঙ্ক ভারতীয় বাহিনীর মূল ব্যাটল ট্যাঙ্ক), ট্যাঙ্কের নানা অংশ, বিপুল সংখ্যক মাল্টিব্যারেল রকেট লঞ্চার ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র এবং ইসরাইলের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল বা চালকবিহীন উড়ন্ত যান এবং ভারতীয় নৌসেনার জন্য বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র কেনা হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, যে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভারতের এই অস্ত্র কেনার খবর প্রকাশ্যে এনেছে, বিষয়টির সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে তারা সব অস্ত্রের নাম বা প্রকৃতি সম্পর্কে বিশদ তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে জানা গেছে যে উপরোক্ত অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও সেনাবাহিনীর গাড়ি এবং ট্যাঙ্কগুলোকে প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে বাঁচানোর মতো রক্ষাকবচ, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বোমা, সৈনিকদের সুরক্ষাকবচ এবং অত্যাধুনিক গ্রেনেড লঞ্চারও কেনা হয়েছে।
এত গোপনে এবং এত তড়িঘড়ি এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কেন কিনল ভারত? এই প্রশ্নকে ঘিরেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকে পাকিস্তানের সামরিক তৎপরতা যেভাবে দ্রুত বাড়ছে, তা খুব স্বাভাবিক নয়। ভারত তাই ‘সব রকম পরিস্থিতির’ জন্য প্রস্তুত থাকতে চাইছে। এ কারণেই জরুরি ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র কেনা হয়েছে।
বিবার্তা/হুমায়ুন/পলাশ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]