শিরোনাম
ধর্মীয় পর্যটন বাড়াতে আগ্রহী সৌদি
প্রকাশ : ২৫ মে ২০১৬, ১৩:০৫
ধর্মীয় পর্যটন বাড়াতে আগ্রহী সৌদি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজতে ধর্মীয় পর্যটনের ওপর জোর দিচ্ছে সৌদি আরব। পর্যটন খাতে বেশ কিছু সংস্কারের ঘোষণাও দিয়েছে দেশটি। যেমন- ধর্মীয় কারণে যারা সৌদি আরব যেতে চান, তাদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে মক্কা ও মদিনায় যারা যাবেন, তারা সেখানে থাকার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন।


বর্তমানে ধর্মীয় কারণে যারা সৌদিতে যান; তাদের ভিসা এবং চলাফেরা কড়াকড়িভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে নতুন নিয়মনীতি অনুসারে এসব কড়াকড়ি অনেক শিথিল করা হবে। মক্কা ও মদিনা থেকে দেশটির অন্যান্য শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার বড় ধরণের কয়েকটি প্রকল্পও শুরু হয়েছে।


সৌদি পর্যটন ও ঐতিহ্য কমিশনের প্রধান, প্রিন্স সুলতান বিন সালমান বলেন, ‘সৌদি আরবের অন্যান্য যেসব প্রাচীন স্থান রয়েছে, সেগুলোও যাতে ভ্রমণকারীরা যেতে উৎসাহিত হন, সেই ব্যাপারেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
বর্তমানে সৌদি আরবের মোট দেশজ উৎপাদনের মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। এদের অধিকাংশই ধর্মীয় কারণে দেশটিতে আসে। হজ এবং ওমরাহ হজ থেকে দেশটির বার্ষিক আয় ১২ হাজার কোটি ডলার। আগামী চার বছরে এই আয় ২০ হাজার ডলারে নিয়ে যেতে চায় সৌদি আরব।


চলতি বছর ওমরাহ হজ করতে ৮০ লাখ মানুষ সৌদি যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা তারা তিন কোটিতে নিয়ে যেতে চায়।


বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল রফতানিকারক দেশ সৌদি আরব। তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় অনেকটাই বিপাকে পড়েছে দেশটি। এমনকি ২৬ বছর পর ঋণ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাদের। তেলের ওপর নির্ভরশীলতার অবসানে এপ্রিলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংস্কারের ঘোষণা দেয় দেশটি। তারই অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন


বিবার্তা/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com