সংবাদমাধ্যমকে মোটেও পছন্দ করেন না ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সেই ট্রাম্পের এ সপ্তাহেই ‘গৃহপ্রবেশ’ হোয়াইট হাউজে৷ মাত্র দুই দিন পর অর্থাৎ ২০ তারিখ শপথগ্রহণ করছেন তিনি। তবে ট্রাম্পের ‘অতীত’ভেবে সাংবাদিকদের ধারণা, এবার হোয়াইট হাউজ মিডিয়ার পায়ে বেড়ি পরানোর চেষ্টা করবেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, হোয়াইট হাউজের ওয়েস্ট উইং -এর প্রেস সেন্টার থেকে সাংবাদিকদের উত্খাত করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দীর্ঘদিন ধরেই হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে একটি ঘর। একটা সময় ছিল যখন হোয়াইট হাউজের ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হত সাংবাদিকদের। সে বহুদিন আগের কথা। ট্রাম্প কি সেই পুরোনো দিন ফিরিয়ে আনবেন? যদিও এমন কোনো চিন্তা-ভাবনার কথা অস্বীকার করেছেন ট্রাম্পের ভাবী চিফ অফ স্টাফ রাইন্স প্রিবাস।
প্রিবাসের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমকে হোয়াইট হাউজ থেকে বের করে দেয়া হবে এমন কোনো আলোচনা হয়নি৷
তবে হ্যাঁ, ওয়েস্ট উইং থেকে সরিয়ে অন্যত্র পাঠানো যায় কি না তা নিয়ে অবশ্যই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে৷ বর্তমান প্রেস সেন্টারে মেরেকেটে ৪৯ জন সাংবাদিক বসতে পারেন। আর ট্রাম্পকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের আগ্রহ প্রবল।
সাংবাদিকদের কথা ভেবে বড় ঘরের বন্দোবস্ত করছে প্রশাসন- প্রিবাসের কথায় আশ্বস্ত হওয়ারই কথা মিডিয়ার। সমস্যা হল না -আঁচানো পর্যন্ত প্রিবাসের কথায় ভরসা রাখতে পারছে না মার্কিন সংবাদমাধ্যম। গত সন্তাহেই হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা অ্যাসোসিয়েশন জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসে। হোয়াইট হাউজ কভার করতে আসা সাংবাদিকরাই এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য।
বৈঠক শেষে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বর্ষীয়ান সাংবাদিক জেফ মেসন বলেন, মিডিয়ার গতিবিধি বন্ধ করার চেষ্টা হলে চুপ করে থাকবো না৷
সংবাদমাধ্যমের ভয় পাওয়ার কারণটাও যথেষ্ট। সম্প্রতি ট্রাম্পের কমিউনিকেশন টিম সাংবাদিক সম্মেলনের প্রথাগত ধারণাটাই ভেঙে দিতে চাইছে- শুধুমাত্র খবরের কাগজ আর টেলিভিশনের রিপোর্টার- ক্যামেরাম্যানে ভিড় বাড়াতে চাইছে না। বরং জামাই আদরে রেডিওর ঘোষক বা কট্টরপন্থী ব্লগারদের নিয়ে আসা হচ্ছে। টেলিভিশন সম্প্রচারেও আপত্তি জানানো হচ্ছে।
এ অবস্থায় রাইন্স প্রিবাসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জেফ মেসন। মেসনকে প্রিবাসের আশ্বাস, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না -বলে কোনো সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত করা হবে না৷
প্রিবাসের আশ্বাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্ক সহজ হয় কি না তা অবশ্য সময় বলবে। তবে সিবিএস নিউজের বর্ষীয়ান সাংবাদিক বব সাইফার বলেন, নতুন প্রশাসনের সঙ্গে মিডিয়ার যে একটা টেনশন চলবে তা নিয়ে আমার কোনো সংশয় ছিল না।
এর আগেও বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্ট মিডিয়াকে ‘সবক ’ শেখাতে গিয়েছিলেন৷ কেউই অবশ্য পেরে ওঠেননি৷
বিবার্তা/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]