এবারের ভিয়েতনাম সফরটি বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির কাছে একেবারেই অন্যরকম। সেখানে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কার প্রতিপক্ষের এক যোদ্ধার সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। ভিয়েত কংয়ের (ভিয়েতনাম কংগ্রেস) সদস্য ৭০ বছর বয়সি ভো বান তাম ও কেরি দীর্ঘক্ষণ আলাপ করেন।
১৯৬৯ সালে মার্কিন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট হিসেবে ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নেন জন কেরি। সে যুদ্ধে ভিয়েতনামের মেকং ডেল্টায় টহল দেয়ার সময় রকেট হামলার শিকার হন তিনি ও তার সঙ্গীরা।
তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রকেট লাঞ্চার পরিচালনাকারীর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করেন জন কেরি। সেজন্য পরবর্তীতে সাহসিতার পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। পরে কেরি ভিয়েতনাম যুদ্ধকে ভুল যুদ্ধ বলে মনে করেন এবং যুদ্ধ থেকে দেশে ফেরার পর শান্তির জন্য যুদ্ধবিরোধী প্রচার শুরু করেন।
এবারের সফরে জন কেরি ভিয়েতনামের সেই যুদ্ধক্ষেত্র কা মাও প্রদেশের বে হাপ নদী পরিদর্শন করেন। সেখানে কেরিকে যুদ্ধের স্মৃতি মনে করিয়ে দেন ভো বান তাম। তার আগে সৌহার্দ্যপূর্ণ করমর্দনও করেন দুজন। কেরি তাকে বলেন, সেই যুদ্ধে তারা দুজনেই বেঁচে ছিলেন- এটি আনন্দের বিষয়।
কেরিকে তাম বলেন, যখন তাদের টহল জাহাজ লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হচ্ছিল, তখন তিনি সেই রকেট পরিচালনাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। কেরির গুলিতে নিহত লোকটির নাম ছিল বা-তানহ। তার বয়স ছিল ২৬ বছর।
২০০৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রার্থিতা করার সময় ভিয়েতনাম যুদ্ধের এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন কেরি। অভিযোগ ছিল, কেরির গুলিতে নিহত ব্যক্তিটি এক কিশোর ছিল। কিন্তু এবারের ভিয়েতনাম সফর থেকে তিনি পরিষ্কার হলেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক যোদ্ধাই ছিলেন।
শুক্রবার ভিয়েতনামে বিদায়ী সফর শুরু করেছেন জন কেরি। শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক হিসেবে দেশটিতে এটি তার চতুর্থ সফর। তার এ সফর একইসঙ্গে রাজনৈতিক এবং গভীরভাবে ব্যক্তিগতও। ভিয়েতনাম থেকে রবিবার মধ্যপ্রাচ্য শান্তি সম্মেলনের জন্য প্যারিস যাবেন কেরি। এরপর তিনি আগামী সপ্তাহে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে দাভোসে যাওয়ার আগে লন্ডনে যাত্রাবিরতি করবেন। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/নিশি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]