ওয়াশিংটন তেহরানকে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক আলোচনায় বসতে বাধ্য করার জন্য পরমাণু সমঝোতাকে পণবন্দি হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন, আইএইএ’তে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজেম গরিবাবাদি।
বুধবার (২৮ জুলাই) অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের চলমান পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনার একাংশ উন্মোচনের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মার্কিনীরা দাবি করছে যে, তারা পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে এবং ওই সমঝোতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত। কিন্তু ভিয়েনা সংলাপে তাদের শর্ত আরোপের চেষ্টা এর উল্টো চিত্র তুলে ধরছে।
গরিবাবাদি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্যে নিজের প্রভাব ইরানের শক্তিমত্তার উপকরণ এবং এই দুই বিষয়ে তেহরান কখনো আলোচনা করবে না।
ইরানের এই কূটনীতিক বলেন, আমেরিকা এখন পর্যন্ত তার দেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতা পরমাণু সমঝোতা থেকে আবার বেরিয়ে না যাওয়ার গ্যারান্টি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এছাড়া, এই সমঝোতা নিয়ে চলমান অচলাবস্থার জন্য আমেরিকার বিদ্বেষী ও ধ্বংসাত্মক আচরণই যে দায়ী সেকথা স্বীকার করতেও ওয়াশিংটন রাজি হচ্ছে না।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর বুধবারের এক ভাষণের পর গরিবাবাদি এসব কথা বললেন। সর্বোচ্চ নেতা তার ভাষণে বলেন, ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সংলাপ প্রসঙ্গে বলেন, “মার্কিনীরা নির্লজ্জভাবে মিথ্যা বলে ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। চুক্তি ভঙ্গ করতে তাদের জুড়ি নেই এবং এ কাজ করতে তাদের হাত বিন্দুমাত্র কাঁপে না। কোনো ধরনের লোকলজ্জার ভয় না করেই তারা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে। এবার পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সংলাপে যখন বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতে তোমরা আবার যে এ সমঝোতা লঙ্ঘন করবে না তার প্রতিশ্রুতি দাও। কিন্তু তারা সে প্রতিশ্রুতি দিতে পরিষ্কারভাবে অস্বীকার করছে।”
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় সই করে আমেরিকাসহ ছয় বিশ্বশক্তি। কিন্তু ২০১৮ সালে বিনা কারণে সেই সমঝোতা থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যায়। এখন তাতে ফিরে আসার জন্য উল্টো নির্লজ্জভাবে ইরানের ওপর শর্ত আরোপের চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।
বিবার্তা/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]