শিরোনাম
চীনের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২১, ১১:৫২
চীনের বিরুদ্ধে সাইবার হামলা ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

চীনের বিরুদ্ধে বড় আকারের সাইবার হামলা ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এসব রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের অভিযোগ- চলতি বছর জানুয়ারিতে এ হামলা হয়েছিলো।


বিবিসি ও রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সার্ভারে এই হামলা হয়েছিলো। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী- এর ফলে বিশ্বজুড়ে অন্তত ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চীনের কোম্পানিসমূহ এবং ব্যবসা লাভবান হয় এমনসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়াই ছিলো সেই সাইবার হামলার লক্ষ্য।


রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নরওয়ে, সৌদি আরব, সাউথ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান এ হামলার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


পশ্চিমা দেশসমূহের নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারির দিকে হাফনিয়াম নামে একটি চীনা হ্যাকার দল মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্চের সার্ভারে ঢুকে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। চুরি হওয়া এসব তথ্যে মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য ও মেধাগত সম্পত্তি (ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি) রয়েছে।


চীনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় (এমএসএস) এই হামলার সঙ্গে যুক্ত ও নির্দেশদাতা বলে মনে করছেন পশ্চিমা নিরাপত্তা সংস্থাসমূহের কর্মকর্তারা।


যেসব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহের তথ্য চুরি হয়েছে সেগুলো বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ও থিঙ্কট্যাঙ্ক সংস্থা। এছাড়া বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং এসবের আওতাধীন সংস্থাসমূহও এ তালিকায় আছে।


ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে। যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে এ হামলাকে বড় ধরনের গুপ্তচরমূলক কার্যক্রম বলে অভিযোগ করেছে। পাশাপাশি উল্লেখ করেছে- চীনে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিযুক্ত হ্যাকাররা এ হামলার জন্য দায়ী।


সোমবার মার্কিন পররাষট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন বলেছেন, সাইবার জগতে দায়িত্বজ্ঞানহীন, বিশৃঙ্খল এবং অস্থিতিশীল ধরনের আচরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ পিপলস রিপাবলিক অব চীনকেই দায়ী করছে। চীনের এই আচরণ আমাদের অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।


যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিকিন রাব বলেছেন, চীনের সরকারকে এই ধরনের ধারাবাহিক সাইবার হামলার অবসান ঘটাতে হবে; তা না হলে তাদেরকে জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হবে।


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য সরাসরি চীনকে দায়ী করেননি, তবে অভিযোগ করেছেন- চীনের ক্ষমতাসীন সরকার হামলাকারী হ্যাকারদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে।


সোমবার এক বার্তায় তিনি বলেন, আমি যদ্দুর বুঝতে পারছি, চীন সরকার সরাসরি এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়; তবে যেসব হ্যাকার এই হামলা চালিয়েছে, তাদরকে বিভিন্নভাবে মদদ ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে দেশটির সরকার। এমনও হতে পারে, তাদেরকে এ বিষয়ক প্রশিক্ষণও দিয়েছে চীনের সরকার।


চীন অবশ্য এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে- এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপন ‘দায়িত্বশীলতার’ পরিচয় নয়।


ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেনগিউ সোমবার এক বিবৃতে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপন দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয়। সাইবার হামলা বা সাইবার মাধ্যমে চুরির জাতীয় কোনো প্রকার কার্যক্রমের সঙ্গে চীনের ক্ষমতাসীন সরকার, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকার সংশ্লিষ্ট কোনো লোকজনের কোনো সম্পর্ক নেই।


বিবার্তা/বিদ্যুৎ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com