শিরোনাম
হোয়াইট হাউস ছাড়লেও যা পাবেন ওবামা
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:১৫
হোয়াইট হাউস ছাড়লেও যা পাবেন ওবামা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদও শেষ হতে চলেছে আগামী ২০ জানুয়ারি। এবার তাঁকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে। তবে হোয়াইট হাউস ছাড়লেও সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামা ও তাঁর পরিবারের জন্য থাকছে অনেক রকম সুবিধা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামা বিপুল অঙ্কের পেনশন পাবেন, এ তো জানা কথাই। এর বাইরেও সরকারের তরফ থেকে থাকছে নানা সুবিধা। দেখা যাক সেগুলো কী কী :


পেনশন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টগণ আজীবন পেনশন পেয়ে থাকেন। তবে এই পেনশন করযোগ্য অর্থাৎ প্রাপ্ত পেনশনের কর পরিশোধ করতে হয়। পেনশনের পরিমাণ কেবিনেট সেক্রেটারি পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তার এক বছরের বেতনের সমান। এটা বর্তমানে বার্ষিক ২০৫,৭০০ মার্কিন ডলার। সাবেক প্রেসিডেন্টের অবর্তমানে তাঁর বিধবা পত্নী বার্ষিক ২০ হাজার ডলার করে আজীবন পেনশন পান। ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের পর সাবেক প্রেসিডেন্ট দফতর ত্যাগের দিন দুপুরবেলা থেকেই পেনশনের সময় গণনা শুরু হয়।


স্থানান্তর ব্যয়
সাবেক প্রেসিডেন্টগণকে ভালোভাবে প্রাইভেট লাইফে ফিরে যেতে সহায়তা করাই এর উদ্দেশ্য। দায়িত্ব ছাড়ার এক মাস আগে শুরু করে সাত মাস পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকে। এর অন্তর্ভুক্ত থাকে অফিস ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন, যোগাযোগ ব্যয়, ছাপার খরচ, পোস্টাল ব্যয়।


কর্মচারী ও অফিসের ব্যয়
সাবেক প্রেসিডেন্টগণ দায়িত্ব ছাড়ার ছয় মাস পর থেকে তাদের অফিসের কর্মচারীদের বেতন বাবদ তহবিল পেয়ে থাকেন। প্রথম ৩০ মাস পর্যন্ত তাঁরা এ বাবদ বছরে সর্বোচ্চ দেড় লাখ ডলার পেতে পারেন। অতিরিক্ত কর্মচারীর ব্যয় সাবেক প্রেসিডেন্টকেই বহন করতে হয়।


ভ্রমণ ব্যয়
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্টদের যে কোনো সফরের ব্যয় সরকার বহন করে। এ সময় তাঁর অনধিক দু'জন কর্মচারীর ভ্রমণব্যয়ও সরকারই দিয়ে থাকে।


নিরাপত্তা
সাবেক প্রেসিডেন্টগণ ও তাদের পত্নীরা আজীবন গোয়েন্দা নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। তাদের সন্তানরাও ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত এ সুযোগ পেতে পারেন।


চিকিৎসাব্যয়
সাবেক প্রেসিডেন্টগণ ও তাদের পত্নী ও বিধবা পত্নী এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানরা সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন। এছাড়া তাঁরা নিজ খরচে বেসরকারি স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা নিতে পারেন।


এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট মারা গেলে ঐতিহ্যগতভাবেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।


এখানে বলে রাখা ভালো যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁদের পরিবারের এই বিশাল সুবিধা দেশটির একেবারে গোড়া থেকেই ছিল না। সেদেশের ৩৩তম প্রেসিডেন্ট হয়ারি ট্রুম্যানকে মাসিক মাত্র ১১২ ডলার আর্মি পেনশন নিয়েই অবসর জীবন কাটাতে হয়। এর পরই সবার সম্বিত ফেরে। ১৯৫৮ সালে জারি করা হয় একটি আইন, এর লক্ষ্য ছিল একজন প্রেসিডেন্টকেও যেন গরিব হিসেবে হোয়াইট হাউস ছাড়তে না হয়। সূত্র : অ্যালামাইডটকম


বিবার্তা/হুমায়ুন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com