শিরোনাম
ভারতে শুরু হলো করোনার টিকা প্রয়োগ
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:৩৮
ভারতে শুরু হলো করোনার টিকা প্রয়োগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো। ভারতে শুরু হলো করোনাভাইরাসের গণহারে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ভার্চুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।


টিকা কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টিকা দেয়া হচ্ছে। ভারতের তিন হাজার ছয়টি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে দৈনিক ১০০ ডোজ টিকা প্রদান করা হবে। ৭০০ জেলায় দেড় লাখ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী এই টিকাদান কর্মসূচির দায়িত্বে রয়েছেন।


এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে এত বড় টিকাদান কর্মসূচি এই প্রথম। তবে টিকাপ্রয়োগ শুরু হলেও, মাস্ক ব্যবহার এবং দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। সবাইকে ধৈর্য্য রাখতে হবে।


নরেন্দ্র মোদি টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে কোন ধরনের গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের কথা মাথায় রেখে ভারতের ভ্যাকসিনগুলি তৈরি করা হয়েছে। এটা আমাদের দেশের জন্য বিজয়।


প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখসারির তিন কোটি মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটির সরকার। স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও পরিচ্ছন্নতাকর্মী, সেনাবাহিনী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীদের নাম রয়েছে প্রথম তালিকায়।


দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানান, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনেই তিন লাখের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি এই কর্মসূচিকে ‘করোনাভাইরাস নির্মূলের সূচনা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।


এনডিটিভির প্রতিবেদনে দিল্লির টাস্ক ফোর্সের ডা. সুনীলা গার্গ বলেন, প্রধমে যারা টিকা পাবেন তাদের বয়স ৫০ বছরের কম। এই তালিকায় থাকা বেশিরভাগই নার্স, ওয়ার্ড বয়, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং তরুণ চিকিৎসক। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের ৮০ শতাংশের বেশির বয়স ৫০ বছরের নিচে।


এর আগে নতুন বছরের শুরুতে দুটি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রণক সংস্থা। এগুলো হলো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা ভারতে উৎপাদিত সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড। আর ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।


এদিকে করোনার টিকাপ্রদান কর্মসূচির বিষয়ে সব তথ্য সংগ্রহ করতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘কো-উইন ভ্যাকসিন ডেলিভারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেরও অনুমোদন দিয়েছেন। এর মাধ্যমে টিকার মজুত, সংরক্ষণের তাপমাত্রা এবং বিতরণ পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়া যাবে।


বর্তমানে ভারতের হাতে সেরাম ইন্সটিটিউটের উৎপাদিত এক কোটি ১০ লাখ ডোজ এবং ভারত বায়োটেক উৎপাদিত ৫৫ লাখ ডোজ টিকা আছে।


১০০ কোটি ৩০ লাখ মানুষের এ দেশের অন্তত ৩০ কোটি নাগরিককে আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার।


ভারতে শুক্রবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত। প্রাণহানি ঘটেছে প্রায় দেড় লাখ মানুষের।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com