শিরোনাম
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২০, ০৯:৫৪
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

অক্সফোর্ডের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলে এটি বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।


বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টকে’ তিনি এ কথা বলেন। তবে বাংলাদেশে ব্রিটিশ এ ভ্যাকসিনের কোনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে না বলেও জানান তিনি।


এর আগে, জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং দ্রুত বিতরণের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইতোমধ্যে এ ভ্যাকসিনের লাখ লাখ ডোজ প্রস্তুত করতে শুরু করেছে।’


স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ১০০ কোটি ডোজ সরবরাহের জন্য তারা ভারতের একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে। সব দেশে ভ্যাকসিনের সমান প্রাপ্যতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাজ্য।


ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘যুক্তরাজ্য জলবায়ু সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক আরও গভীর করার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।’


‘মিয়ানমারের রাখাইনের পরিস্থিতি খুব বেশি উৎসাহজনক নয়’ উল্লেখ করে ডিকসন বলেন, ‘তারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান ব্যবস্থাকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছেন। মিয়ানমার আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) চাপের মুখে থাকবে।’


‘এটি বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি।’


রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিয়ে হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা আমাদের সাধ্যমতো কাজ করছি।’


নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের আস্থা বাড়াতে সেখানে তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেন এ কূটনীতিক।


জোর করে বাস্তুচ্যুত করা মিয়ানমারের ১১ লাখের বেশি নাগরিককে অস্থায়ী আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু তারা এখন মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় না কারণ মিয়ানমার সরকারের ওপর তাদের বিশ্বাস নেই। এর ফলে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯ সালের আগস্টে প্রত্যাবাসনের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।


আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিক্যাবের সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান।


বিবার্তা/এনকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com