আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার প্রতি বিদ্যমান সংঘাত বন্ধের আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, মহাসচিবের মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গুতেরেসের মুখপাত্র জানান, এ সংঘাতের ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব মর্মাহত। শিগগিরই তিনি এ নিয়ে দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন।
এর আগে কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রবিবার সকালে দুই দেশের সেনাবাহিনী পরস্পরের উদ্দেশ্যে ভারী গোলাবর্ষণ করে। গত কয়েক মাস ধরে সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রবিবার তা যুদ্ধে রূপ নেয়। দুই দেশই ‘বিনা উসকানিতে আগে গুলিবর্ষণের’ জন্য পরস্পরকে অভিযুক্ত করেছে। এর আগে গত জুলাই মাসে উভয় দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়।
১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বংশোদ্ভূতরা।
এদিকে নতুন করে সংঘাতের ঘটনায় আজারবাইজানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটির পক্ষ থেকে এই হামলাকে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে উসকানি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ায় আর্মেনীয়দের প্রতি দেশটির শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহাবন জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, যেসব নেতারা আর্মেনিয়াকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এবং নাগরিকদের পুতুলের মতো ব্যবহার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আর্মেনীয়দের রুখে দাঁড়ানো উচিত।
টুইটারে এরদোয়ান লিখেছেন, দখল ও নির্মমতার বিরুদ্ধে বিশ্বকে আজারবাইজানের পাশে থাকার আহবান জানাচ্ছি।
অন্যদিকে এ সংঘাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, উদ্বেগের সঙ্গে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার সামরিক সংঘাত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তেহরান। যুদ্ধবিরতি ও উভয় পক্ষের আলোচনা শুরুর জন্য ইরান নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে সম্ভব সবকিছু করবে।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]