শিরোনাম
কুয়েতে গ্রেফতার এমপি পাপুলের বিচার শুরু
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৫৭
কুয়েতে গ্রেফতার এমপি পাপুলের বিচার শুরু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ নয়জনের বিচার শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। এদিকে পাপুলের কাছ থেকে ‘ঘুষ নেয়ার’ কারণে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কুয়েতের দুজন সংসদ সদস্যকে। এরা হলেন, সাদুন হাম্মাদ আল-ওতাইবি ও সালাহ আবদুলরেদা খুরশিদ।


এছাড়া কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি বরখাস্ত মেজর জেনারেল মাজেন আল-জাররাহও রয়েছেন অভিযুক্তদের মধ্যে।


কুয়েতের পাবলিক প্রসিউকিশনের বরাতে আরবি দৈনিক আল-কাবাস ও আল-রাই জানায়, তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার, ঘুষ দেয়া এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।


এমপি পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।


পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশীর অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তাকে রাখা হয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে।


কুয়েতি কর্মকর্তাদের কীভাবে কত টাকা ঘুষ দিয়েছেন, সে বিষয়ে রিমান্ডে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশের এই এমপি, যা প্রসিকিউটরদের বরাতে প্রকাশ করছে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। সেখানে নাম আসায় কুয়েতের দুই এমপির বিরুদ্ধেও পাপুলকে বেআইনি কাজে সহযোগিতা এবং অর্থপাচারে জড়িত থাকার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে।


আল-কাবাসের এক খবরে বলা হয়, মামলার তদন্তের সময় অভিযুক্ত হিসাবে ১৩ জনের নাম উঠে আসে। এর মধ্যে থেকে চারজনকে তদন্তকালে বাদ দেয়া হয়।


অভিযুক্তদের মধ্যে এমপি পাপুলসহ ছয়জন কারাগারে আছেন। জামিনে রয়েছেন দুই কুয়েতি এমপি এবং একজন পলাতক।


সাধারণ শ্রমিক হিসাবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রী সেলিনা ইসলামকেও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য করে আনেন তিনি। তার মালিকানাধীন মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেয়ার কাজ করলেও কুয়েতে অন্যান্য ব্যবসার কাজও বাগিয়েছিলেন পাপুল।


এর আগে গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছিল, ‘জেনারেল ট্রেডিং অ্যান্ড কনট্রাক্টিং’ নামক লাইসেন্স ছিল পাপুলের, যার মাধ্যমে শিশুদের খেলনা থেকে শুরু করে অ্যানটিক কার্পেটের ব্যবসাও তিনি করতে পারেন। পাপুল ও তার কোম্পানির ব্যাংক হিসাব ইতোমধ্যে জব্দ করেছে কুয়েত কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।


কুয়েতে পাপুলের বিচার চলার বিষয়ে তার আইনজীবীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।


গত ২২ জুলাই তার স্ত্রী স্বতন্ত্র সাংসদ সেলিনা ইসলাম বলেছিলেন, কুয়েতে পাপুলের প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে। সেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে দেশের বহু শ্রমিক কোটি কোটি টাকার রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। সেখানে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রের কারণে কুয়েতে তিনি সমস্যার সন্মুখীন হয়েছেন। মূলত পাপুল ষড়যন্ত্রে শিকার। আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এসব করা হচ্ছে।


বিবার্তা/এনকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com