শিরোনাম
বাংলাদেশ থেকে শ্রম রফতানি বন্ধ করে দিতে পারে কুয়েত
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২০, ১১:২২
বাংলাদেশ থেকে শ্রম রফতানি বন্ধ করে দিতে পারে কুয়েত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুলের মোবাইলে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বেশ কয়েকজন কুয়েতের সংসদ সদস্যের তথ্য পাওয়া গেছে। তার কারণে বাংলাদেশ থেকে শ্রম রফতানি বন্ধ করে দিতে পারে কুয়েত সরকার। এছাড়া গোটা শ্রম বাজারকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ হিসেবে সরকারি কাজে বিদেশি লোক কমানোসহ ভ্রমণ ভিসা বন্ধ হতে পারে।


সোমবার (২৯ জুন) কুয়েতের সংবাদমাধ্যম আরবটাইমস এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। ওই ফোনে যেসব কর্মকর্তার ছবি ও ভিডিও আছে তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে এবং একজন শীর্ষ আমলা বরখাস্ত হতে পারেন বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।


প্রতিবেদনে জানানো হয়, যে শীর্ষ আমলা পাপুলের কাজে সহায়তা করেছিল তার সেক্রেটারি ঘুষ খাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। ঘুষ আদান-প্রদান এমনভাবে হয়েছে যাতে করে ওই শীর্ষ কর্মকর্তা ও পাপুলের মধ্যে কোনো লেনদেন হয়েছে এটি বোঝা না যায়।


পাপুলের কোম্পানিকে ২৩ হাজার বাংলাদেশীকে চাকরি দেয়ার অনুমতি পাইয়ে দেয়ার জন্য ওই কর্মকর্তা তার ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলো। কিন্তু যে সময়ে এই ঘটনা ঘটে তখন বাংলাদেশীদের ভিসা দেয়া নিষেধ ছিলো। পাপুল শুধু যে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছে তাই না, কুয়েতের একাধিক সংসদ সদস্যের সঙ্গে তার ছিল অবৈধ ব্যবসায়িক সম্পর্ক।


সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, কুয়েতের দুই জন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও ভিসা বাণিজ্যের অভিযোগ আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি চেয়ে স্পিকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া তৃতীয় আরেকজন সংসদ সদস্যের নাম তদন্তে উঠে আসলেও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে কিছু বলেনি কুয়েত সরকার। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, কুয়েতে আগামী সংসদ নির্বাচনে পাপুলের দুর্নীতির ঘটনা বড় ধরনের প্রভাব রাখতে পারে, এমনটা ধারণা করছে আরবটাইমস।


বিবার্তা/এনকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com