যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে পুলিশি হত্যাকাণ্ডের শিকার জর্জ ফ্লয়েড করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন হেনেপিন কাউন্টি প্রকাশিত নতুন এক অটোপসি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ডেরেক চাওভিন নামের ওই শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। নিহত ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। নিশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। এই হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে হত্যার শিকার হন জর্জ ফ্লয়েড।
সিএনএন এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ময়না তদন্তের জন্য নেয়া নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে ফ্লয়েড ‘২০১৯ এনকভআরএনএ পজিটিভ’ ছিলেন। কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসকে ২০১৯-এনকভআরএনএ নামেও ডাকা হয়ে থাকে।
আনুষ্ঠানিক ময়নাতদন্তে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ (হোমিসাইড) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পুলিশি নির্যাতনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ওই আফ্রিকান আমেরিকান।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পুলিশ আটক করলে ৪৬ বছরের ফ্লয়েড হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের গলায় চাপ বা আটকে ধরার কারণে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ফ্লয়েডের পরিবারের পক্ষ থেকে আরেকটি পরীক্ষা করা হয়। সেখানে বলা হয় পুলিশ গলা ও ঘাড়ে চাপ প্রয়োগ করায় তিনি অক্সিজেন চলাচলের বাধাজনিত অ্যাসফিক্সিয়ায় আক্রান্ত হন।
পরিবারের নিযুক্ত আইনজীবী বেঞ্জামিন ক্রাম্প বলেন, পুলিশ ডেরেক চাওভিন যদি ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চাপা না দিতেন ফ্লয়েড বেঁচে থাকতেন।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]