যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি করোনায় আক্রান্তদের জরুরি চিকিৎসার জন্য দুটি ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ওই ওষুধ দুটি ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সোমবার (৩০ মার্চ) ওষুধ ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে লাইসেন্স দেয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ক্লোরোকুইন ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের বিষয়ে এই অনুমোদন দেয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধারণা, এ দুটি ওষুধ করোনা চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা রাখে। যদিও কোভিড-১৯ নিরাময়ে এসব ওষুধের কার্যকরিতা নিয়ে এখনো তেমন কোনো বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ মেলেনি।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৫৩ জন। সোমবার একদিনেই সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
বিশ্বে এখনো এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধও এখনও তৈরি হয়নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস (এইচএইচএস) বিভাগ বলেছে, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ দুটি হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে উপশম দিতে পারে।
তবে এফডিএ শর্ত দিয়েছে, কোনো হাসপাতাল ওই দুটি ওষুধ ব্যবহার করতে চাইলে কেবল সরকারি মজুদ থেকে সরবরাহ করা ওষুধই রোগীদের দিতে পারবে। ওষুধ কোম্পানি বায়ার ও নোভার্টিস অনুদান হিসেবে ওই ওষুধ যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দিয়েছে।
নোভার্টিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস নরসিমান বলেছেন, কোরানাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা তাদের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে খুবই আশাবাদী।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুদান হিসেবে ১৩ কোটি ডোজ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নোভার্টিস।
বিবার্তা/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]