প্রাণঘাতি করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৬০১ জনের। আক্রান্ত হয়েছে আরো ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
এর মধ্যে চীনের মূলভূখন্ডে নতুন করে ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে সেখানে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ১৬৯ জন। আর নতুন করে ৩৬ জন আক্রান্ত হওয়ায় সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৭৯৩ জনে। সুস্থ বাড়ি ফিরেছেন এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি নাগরিক।
অপরদিকে চীনের বাহিরে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে ইউরোপীয় রাষ্ট্র ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগের দিন ১৬৮ জন, তার আগের দিন ৯৭ জন, তারও আগের দিন ১৩৩ জন মারা যায় এ ভাইরাসে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এতে করে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২৭ জনে।
দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৩১৪। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ হাজারে পৌঁছেছে। যা চীনের পরেই সর্বোচ্চ।
থেমে নেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। ইসলামী প্রজাতান্ত্রিক দেশটিতে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩শ’র বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত সংখ্যা ৯ হাজার। এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে প্রায় ৮ হাজার মানুষ করোনায় ভুগছেন। মৃতের সংখ্যা ৬৬ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে কোরিয়ার পরেই স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানি। স্পেনে ২ হাজার ১৪০ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ৪৮ জন। প্রান্সে আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে হাসপতালে রয়েছেন ১৭৮৪ জন।
জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩শ ব্যক্তির দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যেখানে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। জাপানে নোঙ্গর করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬৯৬ যাত্রী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ৯৮৭, মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ৪৭৬ এবং মারা গেছে ৩ জন, যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ৪৫৬ মৃত্যু ৮। ইরাকে আক্রান্ত ৬০, মৃত্যু ৬। ভারতে ৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর প্রাণহানি ঘটেনি।
সবমিলে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১৪টি ভাইরাসটি বিস্তৃতি লাভ করেছে। যার সর্বশেষ শিকার বাংলাদেশ। যেখানে এখন পর্যন্ত ৩ জনের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। তবে দুই জনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে। আর দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ আছেন অন্তত ২১০ জন।
দ্রুত গতিতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার হতে থাকায় গত ৩০ জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
বিবার্তা/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]