মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন প্রশ্নে বুধবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। একে স্বেচ্ছাচারিতা এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ হিসেবে আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা।
তবে, সংবিধান রক্ষার জন্যই ট্রাম্পকে অভিশংসন করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ও জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলোসি।
এদিকে ট্রাম্পের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাধারণ মার্কিনিরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন এবং অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার নিউইয়র্কের রাস্তায় নামেন সাধারণ মার্কিনিরা।
এসময়, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়ার পাশাপাশি অবিলম্বে ট্রাম্পের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
নিউইয়র্ক ছাড়াও ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ড, সান ফ্রান্সিসকো এবং আ্যারিজোনার ফিনিক্সসহ বিভিন্ন শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, আমি আগামী বছরের দিকে তাকিয়ে আছি। প্রতিনিধি পরিষদ অনুমোদন দিলে, রিপাবলিকানদের কারণে সিনেট ট্রাম্পকে অপসারণ করতে পারবে না হয়তো। তাই আগামী নির্বাচনের মাধ্যমেই তাকে জবাব দেয়া হবে।
একই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষেও সমাবেশ করেছেন তার সমর্থকরা।
তারা বলছেন, এটা একটি প্রহসন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিপক্ষে অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই। সবাই বলছে সে অন্যের কাছ থেকে শুনেছে।
এদিকে, অভিসংশন ইস্যুতে আবারো নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির কাছে এক চিঠিতে, অভিশংসন প্রশ্নে ভোটের তীব্র প্রতিবাদও জানান তিনি। চিঠিতে অভিশংসনকে একটি কুৎসিত শব্দ হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আগামী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণই এর শক্ত জবাব দেবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তারা নিজেরাও জানেন এটা একটা ভুয়া প্রক্রিয়া। তবুও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটরা একে এগিয়ে নিচ্ছে। জনগণ তাদের ক্ষমা করবেন না।
তবে ট্রাম্পের চিঠি পাওয়ার পর প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতেই ট্রাম্পকে অভিশংসন করা প্রয়োজন।
এদিকে, প্রতিনিধি পরিষদ ট্রাম্পের অভিশংসন অনুমোদন করলে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেটের সিদ্ধান্তের জন্য। এরইমধ্যে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন রিপাবলিকান সিনেট নেতা মিচ ম্যাককোনেল। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট সিনেট নেতা চাক শুমার বলেছেন, সিনেটের প্রত্যেক সদস্য তাদের শপথ রক্ষা করে ট্রাম্পের ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেবেন।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই বিভিন্ন কারণে আলোচিত-সমালোচিত তিনি। এবার দু'টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, অভিশংসনের মুখে পড়তে যাচ্ছেন ট্রাম্প। তবে প্রতিনিধি পরিষদ অনুমোদন দিলেও, ক্ষমতাসীন রিপাবলিকানদের দখলে থাকা সিনেট তা পাস করে কি-না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]