কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে হত্যা মামলার আসামিরা। কিন্তু অপরাধী সাব্যস্ত করার শক্ত কোনো প্রমাণ নেই। তা সত্ত্বেও ওপরের নির্দেশ, শাস্তি দিতেই হবে অভিযুক্তদের। শেষ পর্যন্ত চাপ উপেক্ষা করেই আসামিদের বেকসুর খালাস দেন বিচারক। এরপর এজলাসে বসে পকেট থেকে পিস্তল বের করে নিজের মুখে গুলি চালান বিচারক।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ইয়ালা আদালতে। দ্রুত বিচারককে হাসপাতালে নেয়া হয়। অপারেশনের পর বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।
এর আগে প্রতিবাদী বক্তব্য দিয়ে সেটা সামাজিক মাধ্যমে পোস্টও করে ওই বিচারক। ন্যায়বিচারে এমন নজিরবিহীন প্রতিবাদের জন্য এখন প্রশংসায় ভাসছেন বিচারক কানাকর্ন পিয়ানচানা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তো বটেই, থাইদের মুখে মুখেও এখন একটাই কথা- একেই বলে বিচারক। এরই নাম বিচার।
থাইল্যান্ডের বিচার বিভাগ ও এর বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে ঢের অভিযোগ রয়েছে। দেশটির সচেতন মহল ও সুশীল সমাজ বলছে, আদালত এখন ধনী ও প্রভাবশালী ছাড়াও আর কাউকে চেনে না। রায় বেশিরভাগই পয়সাওয়ালা ও প্রভাবশালীদের পক্ষেই যায়।
নিজের বুকে গুলি চালানোর আগে বিচারক খানাকর্নের লেখা বিবৃতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ২৫ পৃষ্ঠার ও বিবৃতি থেকে জানা যায়, তিনি যে মামলার শুনানি করছিলেন তা জাতীয় নিরাপত্তা এবং গোপন সংগঠন, ষড়যন্ত্র ও অস্ত্রবিষয়ক।
থানাকর্নের দাবি, মামলায় রায় নিয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারকদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। প্রমাণের অভাবে পাঁচ অভিযুক্তকে খালাস দিতে চেয়েছিলেন খানাকর্ন। তবে জ্যেষ্ঠ বিচারকেরা তাকে তিন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকি দু’জনকে কারাদণ্ড দিতে চাপ দেয় বলে ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]