জম্মু-কাশ্মীরে রক্তবন্যা বয়ে যেতে পারে বলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সতর্ক করার পরদিন সেখানকার পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।
শনিবার ইমরান খানের ভাষণের পর কাশ্মীরে বিক্ষোভের আশঙ্কায় ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে স্বাধীনতাকামী অন্তত ছয় কাশ্মীরির প্রাণহানি ঘটেছে।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরের ১২ মাইল উত্তরের গান্দেরবলে তিন কাশ্মীরি তরুণ নিহত হয়েছেন। এছাড়া জম্মু এবং শ্রীনগরের মধ্যে সংযোগকারী মহাসড়কের বাটোটের কাছে পুলিশের তল্লাশি অভিযানের সময় আরো তিনজনের প্রাণহানি ঘটে।
গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা-সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার। এর পর থেকেই কাশ্মীরে কারফিউ অব্যাহত রয়েছে, মোতায়েন রয়েছে ৪০ হাজারের বেশি অতিরিক্ত সেনাসদস্য।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম ভাষণে দীর্ঘ এক বক্তৃতায় কাশ্মীর পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তার ওই ভাষণে কাশ্মীর থেকে কারফিউ উঠে গেলে সেখানে রক্তবন্যা বয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দেন পাক এই প্রধানমন্ত্রী। হাজার হাজার কাশ্মীরিকে গৃহবন্দি এবং গ্রেফতার করায় ভারতের নিন্দা জানান তিনি।
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সর্বাত্মক পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলেও জাতিসংঘে সবাইকে সতর্ক করে দেন ইমরান খান। তিনি বলেন, এই যুদ্ধ শুরু হলে পুরো বিশ্বকে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে।
পাক প্রধানমন্ত্রীর এমন ভাষণের পর শুক্রবার গভীর রাতেই হাজার হাজার কাশ্মীরে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান এবং স্বাধীনতা দাবি করেন কাশ্মীরবাসী।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]