সুইডেনের ‘রাইট লাইভলিহুড’ পুরস্কার, যাকে বলা হয় ‘বিকল্প নোবেল’। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বকে জাগাতে বেশ আগে থেকেই আন্দোলন শুরু করেন সুইডেনের ছাত্রী কিশোরী গ্রিতা থানবার্গ। তার ওই সাহসী উদ্যোগ এবার তাকে এনে দিল অনন্য এ স্বীকৃতি। ওই কিশোরীর বয়স ১৭ বছর।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, জাতিসংঘে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বনেতাদের উদাসীনতা ও কর্মনিস্পৃহা নিয়ে কথা বলার পর দিনই গ্রিতা এ পুরস্কার পেলেন।
বিকল্প নোবেল পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় গ্রিতা থানবার্গ বলেন, আমি অত্যন্ত গর্বিত এমন একটি মহাসম্মাননা পেয়ে। তবে আমি একাই এ পুরস্কারজয়ী নই। প্রাণবন্ত পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য লড়ছে স্কুলশিশু, যুবা ও প্রাপ্তবয়সী- আমি সেই বিশ্ব আন্দোলনের একটি অংশ মাত্র। এ পুরস্কার তাদের সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলাম।
গ্রিতাসহ আরো তিন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- চীনের আইনজীবী গুয়ো জিয়ানমি, যিনি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন; পশ্চিম সাহারার আমিনাতু হায়দার, যিনি তার মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার জন্য প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ইয়ানোমামি সম্প্রদায়ের মুখ-প্রতিনিধি ডেভি কোপেনাবা, যিনি আমাজনের ব্রাজিল-ভেনিজুয়েলা সীমান্তে বসবাস করছেন।
১৯৮০ সাল থেকে রাইট লাইভলিহুড পুরস্কার দেয়া হয়। পরিবেশ ও উন্নয়নশীল দেশ- এ দুই বিভাগে নতুন করে নোবেল পুরস্কার দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে এ পুরস্কারের প্রচলন শুরু হয়।
এর আগে যারা এ পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন এডওয়ার্ড স্নোডেন ও ওয়াঙ্গারি মাথাই। কেনিয়ার পরিবেশ আন্দোলনের পুরোধা মাথাই ১৯৮৪ সালে এ পুরস্কার পান; তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৪ সালে।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]